খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

শ্যামনগরের দুর্গাবাটিতে ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধ স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার করেছে স্থানীয়রা

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরায় শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পশ্চিম দুর্গাবাটি এলাকায় খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধের ভাঙ্গন পয়েন্টে বিকল্প রিং বাঁধ দিয়ে পানি আটকাতে সক্ষম হয়েছেন গ্রামবাসী। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্ব শনিবার সকাল থেকে সহাস্রাধিক এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করে এই বিকল্প রিং বাঁধ নির্মাণ করতে সক্ষম হয়।

গত বৃহস্পতিবার (১-এপ্রিল) দুপুরে খোলপেটুয়া নদীর প্রবল জোয়ারের তোড়ে শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পশ্চিম দুর্গাবাটি এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)’র বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ওই ইউনিয়নের ৫ টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। নদীর পানিতে প্লাবিত হয় প্রায় ৫ হাজার বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি। খোলপেটুয়া নদীতে ভাটা শুরু হলে শনিবার সকাল থেকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ভবতোষ মন্ডলের নেতৃত্ব শনিবার সহাস্রাধিক এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ভাঙ্গন পয়েন্টে স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মাণ কাজ শুরু করে। দুুপুরে নদীতে জোয়ার আসার আগেই বাঁধ মেরামতের কাজ শেষ করেন এলাকাবাসী।

বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভবতোষ মন্ডল জানান, নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে প্রতিবছর বেড়িবাঁধে এই ভাঙ্গন দেখা দেয়। প্রায় ৫০ বছর ধরে এই এলাকার পাউবো’র বেড়িবাঁধ ভাঙ্গছে। আর প্রতি বছর প্রায় নিয়ম করেই এই বাঁধ ভাঙ্গার জন্য তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডর গাফিলতিকে দায়ী করেন।

তিনি আরো জানান, স্থানীয় হাজার হাজার এলাকাবাসীকে নিয়ে গত দুই দিন ধরে সেখানে বিকল্প রিংবাঁধ দিয়ে কোন রকম নদীর পানি ঢোকা বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু দ্রুত এখানে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা না হলে আগামী বর্ষা মৌসুমে এই বিকল্প রিংবাধ কোন ভাবেই টেকানো সম্ভব হবে না।

শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন বলেন, নদীতে অস্বাভাবিক জোয়ার বৃদ্ধি পাওয়ায় উচ্চ জোয়ারের চাপে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পশ্চিম দূর্গাবাটি পয়েন্টের বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যায়। এছাড়াও পদ্মপুকুর ইউনিয়নের খুটিকাটা, পদ্মপুকুর, চন্ডিপুর ও চাউলখোলা পয়েন্টের বেড়িবাঁধ গুলো খুবই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। যেকোন মুহূর্তে এই বেড়ি বাঁধগুলোও ভেঙ্গে যেতে পারে। তিনি এসময় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মানের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।

খুলনা গেজেট/কেএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!