সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ধান ক্ষেতে পানি দেওয়াকে কেন্দ্র করে ভাতিজার লাঠির আঘাতে চাচা এস.এম আলী আকবরের (৭৫) মৃত্যু হয়েছে। এসময় নিহতের ছেলে রওশন আলম (৪২) আহত হয়েছেন। বুধবার (১০ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার ভূরুলিয়া নাকবাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশ আলী আকবরের ভাতিজা শহিদুল ইসলাম, তার স্ত্রী কুলসুম ও দুই ভাই মনিরুল ও মেহেদীকে গ্রেপ্তার করেছে।
নিহত আলী আকবর শ্যামনগর উপজেলার ভুরুলিয়া নাগবাটি গ্রামের মৃত মোকছেদ আলীর ছেলে।
নিহতের ছেলে রওশন আলম জানান, শুকিয়ে যাওয়া বোরো ক্ষেতে যৌথ মালিকানার পুকুর থেকে বুধবার বিকালে তার পিতা শ্যালো মেশিনের সাহায্যে পানি দিচ্ছিলেন। এসময় তার তিন চাচাত ভাই ও তাদের স্ত্রী সন্তানরা এসে পানি তোলার কাজে বাঁধা সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে তার পিতা জোরপূর্বক পানি তোলার চেষ্টা করলে তাকে লাঠি দিয়ে এলাপাতাড়ি মারপিট করা হয়। এসময় চাচাত ভাই শহিদুল হাতে থাকা লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে তার পিতা মাটিতে পড়ে যান। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্মরত ডা. শাকির হোসেন জানান, আলী আকবরকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, নিহতের ছেলে পিতাকে হত্যার ঘটনায় মামলা করেছেন। অভিযুক্তদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা মর্গে পাঠানো হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এএজে