সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মাদার নদীতে নেমে কেরামত আলী (৪০) নামের এক জেলে নিখোঁজ হয়েছেন। মাছ শিকারের জন্য নদীতে ফেলা বড়শী আটকে যাওয়ায় তা ছাড়াতে ডুব দেয়ার পর তিনি নিখোঁজ হন। মঙ্গলবার (২৮ জুন) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে এঘটনা ঘটে ।
নিখোঁজ কেরামত আলী সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের বৈশখালী গ্রামের মৃত মুনছুর গাজীর ছেলে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরী দলের সদস্যসহ শ্যামনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে নিখোঁজ জেলের সন্ধান শুরু করেছে। তবে ৬ঘন্টায়ও তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
নিখোঁজ কেরামত আলীর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম জানান, মঙ্গলবার সকালে তার স্বামী বাড়ির পার্শ্ববর্তী মাদার নদীতে লম্বা সুতা দিয়ে বড়শী ফেলে। এসময় নদীর মধ্যে আটকে যাওয়া বড়শী ছাড়ানোর জন্য তাকে কিনারে দাড় করিয়ে তিনি দিয়ে ডুব দিয়ে দীর্ঘক্ষনে আর ফিরে আসেননি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শমসের আলী জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসের কালিগঞ্জ ইউনিট ও শ্যামনগর থানাকে অবহিত করা হয়। জায়গাজমি না থাকায় কেরামত দুই ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে মাদার নদীর চরে বসবাস করতেন বলে তিনি জানান।
কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম জানান, কেরামত আলীর মৃগীরোগ ছিল। পানিতে ডুব দেওয়ার পর তিনি মৃগীরোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
ফায়ার সার্র্ভিস দলের সদস্য রবিউল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানীয়দের বর্ণনামতে জায়গা নির্ধারণ শেষে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে ডুবুরীরা।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মুর্শিদ দুপুর দেড়টার দিকে জানান, এখনো কেরামত আলীর সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি।