সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার টেংরাখালী পল্লীর জোড়া খুনের মামলার ৪ আসামী রোববার (২৪ জুলাই) আদালতে আত্মসমর্পন করেছে। আইনজীবির মাধ্যমে সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট রাকিবুল হাসানের আদালতে তারা আত্মসমর্পন করে জামিন প্রার্থনা করেন। এসময় আদালত তাদের জামিন আবেদন না’মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
আত্মসমর্পনকারী আসামীরা হলো, শ্যামনগর উপজেলার টেংরাখালী গ্রামের আব্দুস সোবহান, আব্দুল আলিম, জালাল ও খলিল। আলোচিত এ মামলার প্রধান আসামী ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ লাল্টুসহ মোট ১১ জন আগে থেকে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ৮ জুলাই আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল বারী ও বর্তমান ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ লাল্টুর সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় দু’পক্ষের অন্তত ৩০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমির হোসেন ও আব্দুল কাদের নামের দু’জন মারা যায়।
এঘটনায় নিজের দুই কর্মী নিহত হওয়ার দাবি করে আব্দুল বারী তার প্রতিপক্ষ আব্দুল হামিদ লাল্টুসহ ৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫০ জনকে আসামী করে শ্যামনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এদিকে গত শুক্রবার রাতে মামলার প্রধান আসামী ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ লাল্টুর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরসহ লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। বাড়ি পুরুষ শুন্য হয়ে পড়ার সুযোগে প্রতিপক্ষের লোকজন সেখানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুরসহ লুটপাট চালায় বলে তার স্ত্রী সাকিরুন্নেছা বেগম অভিযোগ করেছে।
তিনি জানান, রাত দেড়টার দিকে ৮/৯ জন মুখোশ পরিহিত অবস্থায় গালিগালাজ করে বাসায় ঢুকে ব্যাপক তান্ডব চালায়। এসময় তারা সবগুলো কক্ষে তল্লাশী চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুরসহ গুরুত্বপুর্ণ কাগজপত্রসহ মুল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তিনি সাধারন ডায়েরী করার জন্য শ্যামনগর থানায় লিখিত আবেদন করেছে বলে নিশ্চিত করেন।
খুলনা গেজেট / আ হ আ