সাতক্ষীরার শ্যামনগরে আকস্মিক টর্নোডোয় সীমান্তের কালিন্দি নদীতে নৌকা ডুবিতে নিখোঁজ জেলে রুহুল কুদ্দুস (৫০) এর মরেদহ এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। মরদেহ উদ্ধারের জন্য শুক্রবার (২৪ মার্চ) সকাল থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত পুলিশ, বিজিবি ও কোষ্ট গার্ডসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কালিন্দিী নদীতে অভিযান চালায়।
নিখোঁজ জেলে রুহুল কুদ্দুস (৫০) সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পূর্ব কৈখালী গ্রামের মৃত রমজান আলী গাজীর ছেলে।
কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম জানান, শুক্রবার সকালে ভাটার সময় রুহুল কুদ্দুস এর মৃতদেহ সীমান্তের কালিন্দি নদীর ভারতীয় অংশের শমসেরনগর বিএসএফ ক্যাম্পের সামনের চরে পড়ে ছিল। বিষয়টি শমসেরনগর বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদেরকে নিশ্চিত করার পর ডুবুরী নিয়ে তারা ১৪-১৫ জনের একটি দল তার মরদেহ উদ্ধারের জন্য সেখানে যায়। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর আগেই জোয়ারের তোড়ে মৃতদেহটি আবার নদীতে ভেসে যায়। তিনি বলেন, তারা এখনো উদ্ধার অভিযানে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে আকস্মিক টর্নেডোয় লন্ডভন্ড হয়ে যায় শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ও রমজান ইউনিয়নের চারটি গ্রাম। এসময় শতাধিক বাড়িঘর সম্পূর্ণ এবং তিন শতাধিক বাড়িঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়। একই সময় কালিন্দি নদীতে নৌকা ডুবে তিন জেলে নিখোঁজ হয়। এর মধ্যে দু’জনকে নৌ-পুলিশ উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও পূর্ব কৈখালী গ্রামের মৃৃত রমজান আলী গাজীর ছেলে রুহুল কুদ্দুসকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আক্তার হোসেন জানান, রুহুল কুদ্দুসের মৃতদেহ ভাসতে দেখার খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে সেখানে পাঠানো হয়েছে। মরদেহ উদ্ধাওে অভিযান অবহ্যত রয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড