সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার দ্বীপ ইউনিয়ন পদ্মপুকুর ও গাবুরায় সড়ক যোগাযোগের জন্য বহু প্রতীক্ষিত নওয়াবেকী-পাখিমারা ঘাটে ফেরি উদ্বোধন করা হয়েছে। রোরবার (৩ জুলাই) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস.এম জগলুল হায়দার প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফেরির উদ্বোধন করেন। এর মধ্যদিয়ে উপকূলীয় কয়েক লক্ষ মানুষের স্বপ্ন পূরণ হলো।
সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে নওয়াবেকী-পাখিমারা ঘাটে ফেরি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এম আতাউল হক দোলন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাতক্ষীরা মোঃ তানজিল্লুর রহমান, সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (ফেরি বিভাগ) মোঃ আজম শেখ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আক্তার হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক সাঈদ উজ-জামান সাঈদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আইয়ুব ডলি, শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বলেন, এক পাশে কপোতাক্ষ নদ ও অপর পাশে খোলপেটুয়া নদী দ্বারা বেষ্টিত শ্যামনগর উপজেলার দ্বীপ ইউনিয়ন পদ্মপুকুর ও গাবুরা সাতক্ষীরা জেলার মূল ভূখন্ড থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন ছিল। ফলে জরুরী স্বাস্থ্য সেবা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় নাগরিক সেবা থেকে দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত ছিল এই দুই ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ।
দূর্যোগকালিন সময়ে প্রয়োজনীয় সুবিধা নিতে এই ইউনিয়নের নাগরিকদের নদী পার হয়ে শ্যামনগর উপজেলা সদরে আসা ছিল একবারে অসম্ভব। ফেরি চালু হওয়ায় এই দুই ইউনিয়নের মানুষ এখন সহজে শ্যামনগর উপজেলা সদর থেকে সাতক্ষীরায় আসা যাওয়া করকে পারবে। এই ফেরির উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে উপকূলের কয়েক লক্ষ মানুষের স্বপ্ন পুরুন হলো।
তিনি আরো বলেন, নওয়াবেকী-পাখিমারা ঘাটে ফেরি সার্ভিস চালুর ফলে উপকূলীয় পদ্মপুকুর, গাবুরা, আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ও শ্রীউলাসহ পার্শ্ববর্তী কয়রা উপজেলার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থায় অগ্রনী ভূমিকা পালন করবে। একই সাথে এই ফেরি উপকূলীয় এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
উল্লেখ্য, শ্যামনগর উপজেলার খোলপেটুয়া নদীর দুই তীরের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ ও দ্রুততর করতে প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে নওয়াবেকী-পাখিমারা ফেরিঘাট নির্মাণ করা হয়।
এদিকে, উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ জরুরী স্বাস্থ্য সেবা পেতে ও রোগী বহনসহ সকল সুবিধা-অসুবিধার কথা মাথায় রেখে ফেরিটি ২৪ ঘণ্টা চালু রাখার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
খুলনা গেজেট / আ হ আ