সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে গৃহবধু তাশকিয়া খাতুন (২৭)কে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার মূল অভিযুক্ত সাহেব আলীকে ৫দিনেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। হত্যাকান্ডের পরপরই আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারছে না।
এদিকে তাশকিয়ার অন্যতম খুনি গ্রেপ্তার না হওয়ায় মামলার বাদিসহ সাক্ষীরা উদ্বেগের মধ্যে পড়েছে। অত্যান্ত হিংস্র স্বভাবের খুনি সাহেব আলী নুতন করে আবারও কোন দুর্ঘটনার জন্ম দেয় কিনা-বিষয়টি নিয়ে চরম উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছে তারা।
মামলার বাদি আব্দুল্লাহ বাবু জানান, সাহেব আলী অত্যন্ত দুর্ধর্ষ প্রকৃতির। ছোট বোনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার অন্যতম খুনি সাহেব আলীকে দ্রুত গ্রেপ্তারে আইন প্রয়োগকারী সকল সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ জানান, হত্যার রহস্য উন্মোচনে পুলিশ কাজ করছে। ইতিমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার মুল সন্দেহভাজন আসামী নিহতের স্বামীকে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। আশা করছি খুব শিঘ্রেই তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (২৩ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিজের শোবার ঘরের অনতিদুরের পুকুরপাড়ে খুন হয় তাশকিয়া খাতুন। শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের ৯নং সোরা গ্রামের বনজীবী ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী ছিলেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে স্বামী বাড়ির বাইরে থাকার সুযোগে তার সহযোগী বনজীবী সাহেব আলী ঘর থেকে ডেকে নিয়ে ওই গৃহবধুকে ঘাড় ও গলায় নৃশংসভাবে কুপিয়ে তাকে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আব্দুল্লাহ বাবু বাদি হয়ে সাহেব আলী ও তাশকিয়ার দেবর আব্দুস সালাম, ভাশুর আবুল কালাম ও জা (দেবরের স্ত্রী) পারুল বেগমসহ ১০জনের নামে শ্যামনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশ নিহত গৃহবধুর এক দেবর ও তার স্ত্রীসহ অপর ভাশুরকে গ্রেপ্তার করলেও ঘটনার পর থেকে মুল ঘাতক সাহেব আলী পলাতক রয়েছে।