শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শান্ত-হৃদয়ের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে পাহাড়সম রান তাড়া করে ৩ উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে টাইগাররা।
বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৫ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩১৯ রান করে আইরিশরা। জবাবে ৪৪.৩ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। টাইগারদের পক্ষে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত শতক হাঁকান শান্ত। শেষদিকে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান মুশফিকুর রহিম। এই জয়ের ফলে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
পাহাড়সম রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। মাত্র ৭ রান করে আউট হন দলনেতা ও ওপেনার তামিম ইকবাল। আরেক লিটন দাস করেন ২১ রান। খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানও। আউট হওয়ার আগে করেন ২৬ রান।
এদিকে চতুর্থ উইকেট জুটিতে তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে আপনতালে খেলে যাচ্ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এ সময় দুজন মিলে তুলেন ১৩১ রান। তাতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় টাইগাররা। ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূরণের পর ওয়ানডেতে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন শান্ত। আউট হন ১১৭ রানে। মাত্র ৯৩ বলে খেলা তার এই ইনিংসটি ১২টি চার ও তিনটি ছয়ে সাজানো।
এদিকে ফিফটি পূরণের পর ৬৮ রানে থেমেছেন তাওহীদ হৃদয়। ৫৮ বলে খেলা তার ইনিংসটি পাঁচটি চারও তিনটি ছয়ে সাজানো। এদিকে ব্যাট হাতে মিরাজ ১৯ ও তাইজুল ৯ রান করেন। এদিকে জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন মুশফিক। তিনি অপরাজিত থাকনে ৩৬ রানে। আর ৪ রানে মাঠ ছাড়েন শরিফুল।
এর আগে চেমসফোর্ডে বৃষ্টির কারণে টস অনুষ্ঠিত হতে প্রায় দেড় ঘণ্টার মতো দেরি হয়। এরপর বৃষ্টি কমলে ৪৫ ওভারে খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার সিদ্ধান্ত আসে। আর খেলা শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের প্রায় সোয়া দুই ঘণ্টা পরে।
ম্যাচের শুরুতে টস জিতে আয়ারল্যান্ডকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে হাসান মাহমুদের করা প্রথম ওভারেই ব্যক্তিগত শূন্যরানে সাজঘরে ফেরেন আইরিশ ওপেনার পল স্টার্লিং। আরেক ওপেনার স্টেফেন ডোহেনি করেন ১২ রান।
তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলনেতা অ্যান্ডি বালবির্নিকে নিয়ে সামলে নেন হ্যারি টেক্টর। এ সময় দুজন মিলে গড়েন ৯৮ রানের জুটি। ফিফটির পথে ছিলেন বালবির্নি। কিন্তু শরিফুলের বলে ব্যক্তিগত ৪২ রানে ফিরেছেন তিনি। এছাড়া ১৬ রানে টাকার ও ৮ রানে ক্যাম্ফের আউট হন।
এদিকে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে এবার জর্জ ডকরেলকে নিয়ে বাংলাদেশি বোলারদের শাসন করে যান টেক্টর। দুজন মিলে মাত্র ৬৮ বলে গড়েন ১১৫ রানের জুটি। তাতেই বিশাল সংগ্রহ পেয়ে যায় আইরিশরা। ব্যক্তিগত শতক তুলে নেন টেক্টর। আউট হন ১৪০ রানে। মাত্র ১১৩ বলে খেলা তার এই অনবদ্য ইনিংসটি সাতটি চার ও দশটি ছয়ে সাজানো।
এদিকে অর্ধশতক পূরণের পর ৭৪ রানে অপরাজিত থাকেন জর্জ ডকরেল। মাত্র ৩৭ বলে খেলা তার ইনিংসটি তিনটি চার ও চারটি ছয়ে সাজানো। আর ৮ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন মার্ক আডায়ার।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলাম। এছাড়া একটি করে উইকেটের দেখা পেয়েছেন তাইজুল ইসলাম ও ইবাদত হোসেন।
খুলনা গেজেট/এমএম