খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৪শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  হাইকোর্ট নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় প্রকাশ্য ক্ষমা চাইতে সারজিস আলমকে লিগ্যাল নোটিশ
  প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের বৈঠক সন্ধ্যায়

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে পাকিস্তানকে হারালো ভারত

ক্রীড়া প্রতিবেদক

শেষ ওভারে রোমাঞ্চ ছড়িয়ে সুপার টুয়েলভের ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করল ভারত। পাকিস্তানের দেয়া টার্গেটে খেলতে নেমে জয়ের জন্য শেষ বল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে ভারতকে। তবে ভারতের জয়ের নায়ক ছিলেন বিরাট কোহলি। তিনি শেষ পর্যন্ত দলকে জয় এনে দিয়ে মাঠ ছাড়েন। কোহলি খেলেন ৫৩ বলে ৮২ রানের ইনিংস। তাকে যোগ্য সহায়তা দেন হার্দিক পান্ডিয়া। তিনি জয় থেকে ১৬ রান দূরে থাকতে নওয়াজের বলে বিদায় নেন।

রোববার (২৩ অক্টোবর) মেলবোর্নে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায়। আগে ব্যাট করে পাকিস্তান ইফতিখার আহমেদ ও শান মাসুদের হাফসেঞ্চুরিতে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ভারত ৪ উইকেট হাতে রেখে ইনিংসের শেষ বলে জয় তুলে নেয়। বিরাট কোহলি অপরাজিত ৮২ রান ও পান্ডিয়া খেলেন ৪০ রানের ইনিংস।

পাকিস্তানের দেয়া টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ভারত। দলীয় ৩০ রানের মধ্যেই লোকেশ রাহুল, রোহিত শর্মা, সূর্যকুমার যাদব ও অক্ষর প্যাটেল বিদায় নেয়। পঞ্চম উইকেটে দলের হয়ে হাল ধরেন অভিজ্ঞ বিরাট কোহলি ও অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া। এ দুজন করেন ১১৩ রানের জুটি। জয় থেকে ১৬ রান দূরে থাকতে নওয়াজের বলে বাবর আজমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন পান্ডিয়া। তার আগে ৩৭ বলে ২ ছয় ও ১ চারে করেন ৪০ রান।

জয় থেকে ২ রান দূরে থাকতে রান আউটের শিকার হন দিনেশ কার্তিক। এতে ম্যাচ আরও জমে ওঠে। শেষ বলে এক রান নিয়ে ভারতের জয় নিশ্চিত করেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। অপরাজিত ৮২ রানের ইনিংসের জন্য প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান বিরাট কোহলি।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে পাকিস্তান। শুরুতেই পাকিস্তানকে ধাক্কা দেন তরুণ পেসার আর্শদ্বীপ সিং। তিনি অধিনায়ক বাবর আজমকে রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নের পথ দেখান। বাবরের বিদায়ের পর দ্রুতই ফেরত যান টি-টোয়েন্টির সেরা ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান। তিনি করেন মাত্র ৪ রান।

এরপর তৃতীয় উইকেটে দলের হাল ধরেন শান মাসুদ ও ইফতিখার আহমেদ। এ দুজনে গড়েন ৭৬ রানের জুটি। শান মাসুদ শান্ত থাকলেও ব্যাটে ঝড় তোলেন ইফতিখার। তিনি অক্ষর প্যাটেলকে টানা তিন ছয় মেরে ওই ওভারে নেন ২১ রান।

যদিও পরের ওভারে ইফতিখার ঝড় থামান বুমরাহর পরিবর্তে স্কোয়াডে সুযোগ পাওয়া মোহাম্মদ শামি। বিদায়েরর আগে ইফতিখার ৩৪ বলে ৪ ছয় ও ২ চারে করেন ৫১ রান। এটি ছিল ইফতিখারের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় অর্ধশত। এরপরই পাক শিবিরে জোড়া আঘাত করেন অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া। একই ওভারে তিনি তুলে নেন শাদাব খান ও মোহাম্মদ নওয়াজকে। তখন দলীয় স্কোর ১১৫ রান।

অপরপ্রান্তে থাকা শান মাসুদ ৪০ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় অর্ধশত। শাহিন শাহ আফ্রিদি শেষ দিকে ৮ বলে ১৬ রানের একটি ক্যামিও ইনিংস উপহার দেন। শেষ পর্যন্ত মাসুদ ৪২ বলে ৫ চারের সাহায্যে ৫২ রানে এবং হারিস রউফ ৪ বলে ৬ রানে অপরাজিত থাকেন।

ভারতের হয়ে আর্শদিপ সিং ও হার্দিক পান্ডিয়া ৩টি করে, মোহাম্মদ শামি ও ভুবনেশ্বর কুমার একটি করে উইকেট লাভ করেন।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!