যশোরে মাদ্রাসায় সহকারি শিক্ষক পদে চাকরি দেয়ার নামে আট লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে শ্বশুর ও ভাইরা ভাইয়ের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে।
সদর উপজেলার হাটবিলা গ্রামের ইসরাইল হোসেনের ছেলে আজগর আলী বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলো, সদরের সিরাজসিঙ্গা গ্রামের জহির উদ্দিন গাজীর ছেলে আব্দুল হালিম ও ছৌগাছার আন্দারকোটা গ্রামের মঞ্জুরুল হকের ছেলে সাইদুর রহমান চয়ন।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগের তদন্ত করে ডিবি পুলিশকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বাদী আজগর আলীর শ্বশুর আসামি আব্দুল হালিম ও ভাইরা ভাই সাইদুর রহমান চয়ন। শ্বশুর আব্দুল হালিম কুয়াদা দারুস সুন্নাহ ফালিজ মাদ্রাসার সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। এরপর জামাই আজগর আলীকে তার মাদ্রাসায় সহকারি শিক্ষক পদে চাকরি দেবেন বলেন আট লাখ টাকা দাবি করেন। ভাইরাও এসময় শ্বশুরের সাথে তাল মিলিয়ে চলে। একপর্যায়ে আজগর আলী ২০২১ সালের ১৮ আগস্ট তাদের পাঁচলাখ টাকা ও একটি বায়োডাটা দেন। ওই বছরের ৪ নভেম্বর আসামিরা তার বাড়িতে গিয়ে আরও তিন লাখ টাকা গ্রহণ করেন এবং চলতি বছরের ২ জানুয়ারি মাদ্রাসায় যোগদান করানো হবে বলে জানিয়ে আসেন। এদিন মাদ্রাসায় যোগদান করতে গিয়ে আজগর আলী জানতে পারেন এ মাদ্রাসায় কোন শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়নি। এ কারণে তার নিয়োগের কোনবৈধতা নেই। এরপর চলতি বছরের গত ২৪ জুন আসামিদের কাছে তিনি টাকা ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করে ও ভয়ভীতি দেখায়। এ কারণে বাধ্য হয়ে তিনি রোববার আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই