বিশ্ব মুসলিম জাহানের আখেরাতের চিরস্থায়ী সফলতা ও দেশের কল্যাণ, শান্তি কামনায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে রোববার (১৯ নভেম্বর) শেষ হলো তাবলীগের তিন দিনব্যাপী আঞ্চলিক ইজতেমা। সাতক্ষীরা পৌর এলাকার সাতক্ষীরা পলিটেকনিক সংলগ্ন লাবসা বলফিল্ড ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় তিন দিনব্যাপী এই জোড় ইজতেমা।
আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন, বাংলাদেশ তাবলীগ জামাতের বিশিষ্ট মুরব্বী মাওলানা ওমর ফারুক। আধা-ঘন্টাব্যাপী এই মোনাজাতে অংশ নেন সাতক্ষীরার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিবৃন্দ সহ হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি। গত শুক্রবার ফজরের পর থেকে আম বয়ানের মাধ্যমে এই ইজতেমা শুরু হয়।
আয়োজকবৃন্দ জানান, এই ইজতেমায় শুধুমাত্র তিন চিল্লা লাগানো সাথীরাই অংশ গ্রহণ করেন। ইজতেমায় অন্যান্যদের মাঝে বয়ান করেন তাবলীগ জামাতের ভারতের বিশিষ্ট মুরব্বী আলীগড় ইউনিভার্সিটির এ্যারাবিক বিভাগের প্রধান প্রফেসর ওবাইদুল্লাহ, পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় মুরব্বী মাওলানা জিয়াউল হক এবং মাওলানা আহসান প্রমূখ।
দ্বীনের মেহনতের জন্য ইজতেমার ময়দান থেকে একশরও বেশী নগদ জামাত তিন চিল্লা (চারমাস) ও এক চিল্লার (৪০ দিন) জন্য বের হয়।
ইজতেমায় অংশগ্রহণকারী কয়েকজন মুরুব্বী জানান, পদ্মার এপারে এটিই তাবলীগের বৃহত্তম ইজতেমা যাতে খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটসহ ১৫ টি জেলার তিন চিল্লার সাথীরা অংশগ্রহণ করেন।
তাবলীগের মুরব্বীগণ জানান, আগামী বিশ্ব ইজতেমার পূর্ব প্রস্তুুতি হিসেবে এই জোড়ের আয়োজন করা হয়েছে। ইজতেমা শেষে জানানো হয় যে, সরকারী অনুমোদন সাপেক্ষে আগামী ২৮, ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার টঙ্গি ময়দানে। ইজতেমার আয়োজন করেছে তাবলীগ জামাতের শুরায়ে নেজামের বা বিশ্ব আলমী শুরার অনুসারী সাথীরা।
খুলনা গেজেট/ এস আই