মানব জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হল ক্ষমা। আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে বান্দার গুনাহ মাফ করা। নবী রাসূলগণ ব্যতিত প্রত্যেক মানুষের জীবনেই আছে গুনাহ, ছোট-বড়, গোপন-প্রকাশ্য, ইচ্ছায়-অনিচ্ছায়।
রাসূল সাঃ এরশাদ করেন প্রত্যেক আদম সন্তানই গুনাহগার আর গুনাহগারদের মধ্যে তওবাকারীগনই সর্বোত্তম। বান্দা যেভাবে গুনাহ করতে ভালবাসে আল্লাহ তায়ালা তারচেয়ে বহুগুনে বেশি ক্ষমা করতে ভালবাসেন। বান্দাকে মাফ করার জন্য তিনি সর্বদা অসিলা/বাহানা তালাশ করেন। কুকুরকে পানি পান করানোর অসিলায় এক পাপী মহিলাকে ক্ষমা করার ঘটনাতো আমরা সবাই জানি।
রমজান মাস হল আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে বান্দার জন্য গুনাহ মাফের তোহফা। তাইতো রমজান মাস কে গুনাহ মাফের মাসও বলা হয়। রমজানের রোজা, তারাবি, কুরআন তেলাওয়াত প্রতিটি ইবাদতের সাথেই আছে ক্ষমার প্রতিশ্রুতি।
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত রাসূল সাঃ এরশাদ করেন যে ব্যক্তি রমজানে ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় রোজা রাখে, তার পূর্ববর্তী গুনাহ সমূহ মাফ করে দেওয়া হয়। এবং যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় তারাবির নামাজ আদায় করে তার পূর্বের সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। (বুখারী মুসলিম)
বিশেষ করে আল্লাহ তায়ালা রমজানের প্রতিরাতে এমন ১০লক্ষ গুনাহগারকে ক্ষমা করেন যাদের প্রত্যেকের উপর জাহান্নাম ওয়াজিব ছিল। এবং রমজানের শেষ রাতে প্রথম থেকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত যতজনকে ক্ষমা করেছেন সে পরিমাণ ব্যক্তিকে ক্ষমা করেন। (তারগীব)
আমরা যারা রমজানের এই মোবারক মাসকে হেলায় খেলায় কাটিয়ে দিয়েছি তাদের জন্য এখনও সময় আছে যে আমরা আল্লাহ তায়ালার কাছে তওবা করে রমজানের শেষ সুযোগটা অন্তত গ্রহন করবো। রমজানের শেষ রাতে ক্ষমাপ্রাপ্ত ৩কোটি মানুষের অন্তর্ভুক্ত হবো। এ সুযোগটিও যদি আমাদের হাত ছাড়া হয়ে যায় তাহলে এর চেয়ে দুর্ভাগ্য আর কি হতে পারে।
হযরত জিব্রাইল আঃ ঐ ব্যক্তির জন্য বদদােয়া করেছেন যিনি রমজান মাস পেয়েও নিজের গুনাহ মাফ করাতে পারলোনা, আর রাসূল (সাঃ) এই বদদোয়া কবুলের জন্য আমিন বলে দৃঢ় করেছেন। মহান আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন। আমীন।
খুলনা গেজেট/ এস আই