ঘরের মাঠে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলতে চেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। তারকা এই ক্রিকেটারের চাওয়ামত তাকে ঢাকা টেস্টের দলে রেখেছেন নির্বাচকেরা। সরকারের সবুজ সংকেত পেয়ে তিনি দেশের উদ্দেশ্যে রওনাও হয়েছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার রাতে তার দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু নিরাপত্তার স্বার্থে সরকার ও বিসিবির লাল সংকেতে ঢাকা ফেরা হচ্ছে না সাকিবের। এতে মাঠ থেকে বিদায় নেওয়া হচ্ছে না বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা এই ক্রিকেটারের।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে রওনা হয়ে দুবাইতে আসতেই সাকিব জানতে পারেন, নিরাপত্তার কারণে তাকে দুবাই থেকে ঢাকায় আসতে অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে। সমকালকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন সাকিব নিজেই। এমন ঘটনায় সমকালের কাছে হতাশা প্রকাশ করেছেন সাকিব। এই মুহুর্তে তারকা এই অলরাউন্ডার বুঝতে পারছেন না, তিনি এখন কি করবেন। দুবাই থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাবেন নাকি বাংলাদেশে আসার জন্য অপেক্ষা করবেন।
এমনিতেই দুবাইয়ে সাকিবের ছিল লম্বা ট্রানজিট। বুধবার দুবাই পৌঁছালেও সেখান থেকে তার ঢাকায় আসার ফ্লাইট আজ স্থানীয় সময় বিকেল পাঁচটার দিকে। ঢাকায় পৌঁছানোর কথা বৃহস্পতিবার রাত ১১টার পর। কাজেই আজ বিকেল পর্যন্ত তাকে এমনিতেই দুবাই থাকতে হতো। শেষ পর্যন্ত সাকিবকে দুবাই থেকেই ফেরত যেতে হচ্ছে। নিরাপত্তার কারণেই সাকিবকে দেশে ফিরতে নিষেধ করেছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়স্ত্রক সংস্থাটি।
সাকিবের দেশে ফেরা নিয়ে গত কিছুদিন ধরেই মিরপুরে বিভিন্ন স্লোগান উঠেছে। স্টেডিয়ামের দেয়ালেও তার বিরুদ্ধে স্লোগান লেখা হয়েছে। এর মধ্যে বুধবার সাকিবের কুশপত্তলিকা দাহ করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার বিরুদ্ধে একটি পক্ষের আজ বিসিবিতে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা।
আগামী ২১ অক্টোবর মিরপুরে শুরু হতে যাচ্ছে প্রথম টেস্ট। আজ দেশে ফিরে আগামীকাল অনুশীলনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল সাকিবের। জানা গেছে, সরকারি পর্যায় থেকেই সাকিবকে দুবাইয়ে অবস্থান করার বার্তা দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, আইসিসি সভায় যোগ দিতে বিসিবি প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদ ও এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী এখন দুবাই আছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম