মেডিকেল শিক্ষায় গবেষণা ও উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে খুলনায় একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করার লক্ষ্যে ‘শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা আইন ২০২০’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর ফলে খুলনা বিভাগে মেডিকেল কলেজসহ চিকিৎসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন থাকবে। এছাড়া, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন আইন ২০২০ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, ‘এর আগেও (গত ১৩ জুলাই) এটি নীতিগত অনুমোদনের জন্য এসেছিল, তখন বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করে এটা অনুমোদন দেয়া হয়। লেজিসলেটিভ বিভাগের মতামত পাওয়ার পর স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ থেকে এটা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘চিকিৎসা শিক্ষায় উচ্চশিক্ষিত বিশেষজ্ঞ গবেষক তৈরির লক্ষ্যে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণা এবং স্নাতক পর্যায়ে চিকিৎসা শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মেডিকেল কলেজগুলোর শিক্ষার মান সংরক্ষণ ও উন্নয়নে খুলনা বিভাগে একটা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। এটা প্রতিষ্ঠিত হলে খুলনা অঞ্চলের মধ্যে যত মেডিকেল কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট বা অন্য চিকিৎসা-সংক্রান্ত যেসব ইনস্টিটিউট থাকবে সবই এই খুলনা শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলে আসবে।’
সভায় অনুমোদন দেওয়া হয় চিকিৎসা ডিগ্রি আইন ২০২০ এবং বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন আইন ২০২০ এর খসড়ার চুড়ান্ত। শিক্ষা সংক্রান্ত আইন দু’টি স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উদ্যোগে সভায় তোলা হয়।
এছাড়াও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কুটনৈতিক সম্পর্কের যৌথ ঘোষণাপত্রের খসড়ার অনুসমর্থনের প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয় মন্ত্রীসভায়।
সচিব জানান, অক্টোবর, নভেম্বর থেকে আরেকবার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে পারে, তাই প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, অক্টোবর-নভেম্বর থেকে আরেকবার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে পারে, তাই প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি নিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও মাস্কের ব্যবহারে আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। জোহর ও মাগরিবের নামাজের সময় মাস্ক পড়া নিয়ে সচেতন করার আহ্বানও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দ্বিতীয়বার করোনার সংক্রমণের আশঙ্কায় প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা নিতে আগামীকাল আন্তমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হবে।
খুলনা গেজেট /এমএম