খুলনা মহানগর বিএনপি আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, শেখ হাসিনা এখন আরেক দেশে বসে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি আশ্রয় করে বাঁচতে চান। পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের দুষ্কৃতিকারীরা দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছেন। আ.লীগ নিজেরাই নিজেদের নিষিদ্ধ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার মধ্যদিয়ে ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করার ফল কখনো ভালো কিছু বয়ে আনে না। যাদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করব, তারা তো নিজেরাই নিজেদের নিষিদ্ধ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় খালিশপুর থানা বিএনপির অর্ন্তগত ১১নং ওয়ার্ড বিএনপি দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বলেন জিয়াউর রহমান সব নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। বাকশালী আওয়ামী লীগকেও রাজনীতি করার সুযোগ দেন। তিনি আরও বলেন, শেখ মুজিব দেশে সব রাজনৈতিক দল, সংবাদপত্র ব্যান করেছিলেন। জিয়াউর রহমান সব রাজনৈতিক দল, এমনকি তার রাজনৈতিক দলটাও (আওয়ামী লীগ) প্রকাশ্যে এনেছিলেন। আওয়ামী লীগের পুনর্জন্মদাতা হচ্ছেন শহীদ জিয়াউর রহমান। প্রথম জন্মদাতা হচ্ছেন মাওলানা ভাসানী আর দ্বিতীয় জন্মদাতা হচ্ছেন জিয়াউর রহমান।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, মানুষ ভাবছে- আওয়ামী লীগ যা করেছে, বিএনপি ও সেটাই করছে, সেই বদনামের দায়ভার আমরা নিতে চাই না। আওয়ামী লীগ যে ভূল করেছে, আমরাও যদি একই ভূল করি তাহলে আওয়ামী লীগের সাথে আমাদের পার্থক্য রইলো কোথায়? ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রথম ধাপ অন্তর্বরতী সরকারের শপথ। আর দ্বিতীয় ধাপ একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। যা এখনো আমরা অর্জন করতে পারিনি। বিএনপি বিশ্বাস করে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। সেটি সম্পন্ন হলে সত্যিকার জনগণের নির্বাচনে প্রতিনিধি দল যখন দেশের দায়িত্ব নেবে, তখন আমাদের আন্দোলনের সফলতা পাব। ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের পতন হলেও তাদের প্রেতাত্মারা এখনও ষড়যন্ত্র করছে। ফ্যাসিজমের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।
ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন, স ম আব্দুর রহমান, আবুল কালাম জিয়া। সম্মেলনের উদ্বোধক ছিলেন থানা বিএনপির আহবায়ক শেখ জাহিদুল ইসলাম, বিশেষ বক্তা ছিলেন থানা বিএনপির সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান বিশ্বাস। এসময় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, শেখ সাদী, আজিজা খানম এলিজা প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/কেডি
