সাতক্ষীরায় কলারোয়ায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের দু’টি মামলায় সাক্ষী দিলেন তিনজন। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মন্ডল কাঠগোড়ায় উপস্থিত ৪০ জন আসামীর উপস্থিতিতে এ সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। আগামি পহেলা আগষ্ট সোমবার পরবর্তী সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
আদালতে সাক্ষীদাতারা হলেন, কলারোয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত হোসেন ও আনছার আলী।
সাতক্ষীরা আদালত সূত্রে জানা যায়, অস্ত্র ও বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের দু’টি মামলায় কারাগারে থাকা ৪০ জন আসামীকে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জেলা কারাগার থেকে স্পেশাল টাইব্যুনাল-৩ এর আদালতের কাঠগোড়ায় হাজির করানো হয়। এ মামলায় নয় জন আসামী পলাতক রয়েছে। বেলা ১০টা ৩৫ মিনিটে মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে অস্ত্র ও বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলার কলারোয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, জব্দ তালিকার সাক্ষী আনছার আলী ও মুক্তিযোদ্ধা শওকত হোসেনকে সাক্ষী হিসেবে হাজির করানো হয়। তবে শহীদুল ইসলামের জবানবন্দি চলাকালে আসামী টাইগার খোকন উচ্চ রক্তচাপ জনিত কারণে মারাত্মক অসুস্থ বলে কাঠগোড়ায় অস্থিরতা সৃষ্টি করলে তাকে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নেওয়া হয়। জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তার কিছুই হয়নি বলায় তাকে ফের আদালতে নিয়ে আসা হয়।
এ ছাড়া আসামীপক্ষের আইনজীবীরা জাভিদ হাসান লাকীর জন্য কারাগারে হুইল চেয়ার দেওয়ার ব্যাপারে আদালতে লিখিত আবেদন জানালে জেল কোর্ড অনুযায়ি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সাতক্ষীরা জেল সুপারকে নির্দেশ দেন।
আসামীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাড. আব্দুল মজিদ (২), অ্যাড. মিজানুর রহমান পিন্টু, অ্যাড. কামরুজ্জামান ভুট্টো, অ্যাড. এবিএম সেলিম, অ্যাড. সোমনাথ ব্যানার্জী প্রমুখ। নয়জন পলাতক আসামীর পক্ষে দায়িত্ব পালন করেন অ্যাড. শামীম রেজা।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ, অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. আব্দুল বারি, অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, অ্যাড, নিজামউদ্দিন, অ্যাড, তামিম আহম্মেদ সোহাগ, অ্যাড. শেখ আজাহার হোসেন. অ্যাড, অ্যাড. সৈয়দ জিয়াউর রহমান প্রমুখ।
প্রসঙ্গত: বিগত ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী এবং বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন কলারোয়ার একজন মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে। সেখান থেকে যশোরে ফেরার পথে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে পৌছালে বেলা ১১টা ৫০ মিনিটের সময় শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে বিএনপির দলীয় নেতাকর্মী এবং সন্ত্রাসীরা হামলা ভাংচুর মারপিট বোমা বিস্ফোরণ ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি ছোড়েন। এতে শেখ হাসিনার সফরসঙ্গীসহ দলীয় কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। এঘটনার এক যুগ পর উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলা হয়।
খুলনা গেজেট / আ হ আ