গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় নিম্ন আদালতে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত ১০ আসামীর ফাঁসির আদেশ বহাল রাখায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন গোপালগঞ্জের সাধারন মানুষ। দ্রুত রায় কায্যকর করার দাবী জানিয়েছে গোপালগঞ্জবাসী।
এদিকে, ২০০০ সালের ২০জুলাই কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাস্থলের পাশে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুতে হত্যা চেষ্টা মামলায় দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত ১০ আসামীর সাজা হাইকোর্ট বহাল রাখায় কোটালীপাড়ায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে।
আজ বুধবার রায় ঘোষনার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে দলীয় কার্যালয় চত্ত্বরে এসে একটি পথসভায় মিলিত হয়। সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, পৌর মেয়র হাজী মো: কামাল হোসেন শেখ, জেলা পরিষদ সদস্য দেবদুলাল বসু পল্টু, ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম বাদল, আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিন হাওলাদার, রুহুল আমিন খান, উপজেলা স্বেচ্ছসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবলু হাজরা, সাবেক ছাত্রনেতা মিজানুর রহমান বুলবুল, যুবলীগ নেতা বুলবুল আহমেদ হাজরা বক্তব্য রাখেন।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক রনি হোসেন কালু বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে বোমা পুঁতে রাখা হয়েছিলো সেই মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে। এ রায়ে আমরা খুশি। আমরা প্রত্যাশা করবো এ রায় দ্রুত কার্যকর হবে।
কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক শেখ আয়নাল হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা মামলায় নিম্ন আদালতের রায় উচ্চ আদালতে বহাল রাখায় সন্তোষ প্রকাশ করছি। এ রায়ে কোটালীপাড়াবাসী আনন্দিত ও উৎফুল্ল। রায় ঘোষণার পর পর কোটালীপাড়ায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ হয়েছে। আশা করবো এ রায় দ্রুত কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, ২০০০ সালের ২২ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠে জনসভা হবার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। ওই দিন জনসভা স্থল থেকে ৭৬ কেজি ওজনের একটি বোমা উদ্ধার করা হয়। পরদিন ২৩ জুলাই আরো একটি শক্তিশালী বোমা হ্যালিপ্যাডের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় ওই দিনই কোটালীপাড়া থানার পুলিশ হত্যা চেষ্টা এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা দায়ের করে। দীর্ঘ শুনানীর পর আদালত ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট দুই মামলার একটিতে ১০ আসামিকে মৃত্যুদন্ড দেন। গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর এ আপিল শুনানি শুরু হলে গত ১ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজ বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি)দিন ধার্য করা হয়েছিল।
খুলনা গেজেট/কেএম