বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সফলতম অধিনায়ক ও পেসার মাশরাফি বিন মর্তুজার ৩৮তম জন্মদিন আজ। ১৯৮৩ সালের ৫ অক্টোবর নড়াইলে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
জীবনের ৩৮ বসন্ত কাটিয়ে ৩৯তম বছরে পা দিলেন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় এ ক্রিকেটার। ক্রিকেটকে আনুষ্ঠানিক বিদায় জানানোর আগেই যোগ দিয়েছেন সক্রিয় রাজনীতিতে। লড়াই করেছেন জাতীয় নির্বাচনে। তাতে জয়ী হয়ে নির্বাচিত হয়েছেন নিজ জন্মস্থান নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে। নতুন এ পরিচয়ে সময় দিতে গিয়ে এখন ক্রিকেট থেকে কিছুটা দূরে মাশরাফি। তবে দেশের মানুষের কাছে সবসময়ই তার প্রথম পরিচয় লড়াকু এক ক্রিকেটার হিসেবে।
২০০১ সালের নভেম্বরে মাত্র ১৮ বছর বয়সে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় নড়াইল এক্সপ্রেসের। বৃষ্টির কারণে শেষ দুই দিনের খেলা হয়নি, ম্যাচের ফল হয় ড্র। তবে জিম্বাবুয়ের একমাত্র ব্যাটিং করা ইনিংসে ৪ উইকেট শিকার করে আলাদাভাবে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন তিনি। জিম্বাবুয়ের একই সফরের ওয়ানডে সিরিজে রঙিন পোশাকেও পথচলা শুরু হয় তার।
দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে সফলতম ওয়ানডে-টি টুয়েন্টি অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার আজ ৩৭তম জন্মদিন। ১৯৮৩ সালের ৫ অক্টোবর বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা নড়াইলে জন্ম গ্রহণ করেন মাশরাফি।
ছোটবেলা থেকেই ফুটবল-ব্যাডমিন্টনের প্রতি আগ্রহ থাকলেও, ক্রিকেটার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গড়েছেন মাশরাফি। হয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটে রঙিন পোশাক ফরম্যাটে সবচেয়ে সফল অধিনায়ক। তার অধীনে ৮৮ ওয়ানডেতে ৫০টি ও ২৮টি টি-টুয়েন্টিতে ১০টি জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এই পরিসংখ্যান মাশরাফিকে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে সেরার কাতারে পৌঁছে দিয়েছে।
শুধুমাত্র অধিনায়ক হিসেবেই নয়, বোলার হিসেবেও বিশ্ব মঞ্চে খ্যাতি আছে মাশরাফির। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ৩৯০টি উইকেট শিকার করেছেন ম্যাশ।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে এখনো বিদায় নেননি ২০০১ সালে অভিষেক হওয়া মাশরাফি। টেস্ট ম্যাচ দিয়ে বিশ্ব মঞ্চে পথ চলা শুরু হয় তার। তবে ইনজুরির সমস্যায় ১৯ বছরের ক্যারিয়ারে মাত্র ৩৬টি টেস্ট খেলেছেন ম্যাশ। ২০০৯ সালে সর্বশেষ টেস্ট খেলা মাশরাফি এই ফরম্যাটে উইকেট নিয়েছেন ৭৮টি।
আর ২২০টি ওয়ানডেতে ২৭০টি ও ৫৪টি টি-টুয়েন্টিতে ৪২টি উইকেট নিয়েছেন মাশরাফি। অধিনায়ক হিসেবে ওয়ানডেতে ১শ উইকেট নেয়া পঞ্চম বোলার এই ডান-হাতি পেসার।
খুলনা গেজেট/এনএম