বাংলাদেশ বেতার, খুলনা কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক মোঃ বশির উদ্দিন বাংলাদেশ বেতার ঘোষিত শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন। শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান নীতিমালা ২০১৭ অনুযায়ী, ২০১৯-২০২০ অর্থ-বছরের জন্য বাংলাদেশ বেতারের সব কেন্দ্র ও ইউনিট প্রধানের মধ্য থেকে এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন তিনি।
সূত্রমতে, মোঃ বশির উদ্দিন বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের তথ্য ক্যাডারের ১৫ ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি ২০১২ সালে আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশ বেতার, খুলনা কেন্দ্রে যোগদান করেন। যশোর, নড়াইল, মাগুরা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরার আবহমান সংস্কৃতি প্রচার ও প্রসারের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশ বেতার, খুলনা কেন্দ্রকে শ্রোতাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছেন।
গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধের ওপর শ্রোতাপ্রিয় অনুষ্ঠান সম্প্রচারে অবদান রাখায় তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বেতার, খুলনা কেন্দ্র ২০১৩ সালে খুলনা সিটি কর্পোরেশন ঘোষিত মেয়র পদক-২০১৩ অর্জন করে। এছাড়াও তার সুযোগ্য নেতৃত্বে খুলনা বেতার জনসংখ্যা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০১৯ অর্জন করে।
আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে যোগদানের পর থেকেই মোঃ বশির উদ্দিন লোকনন্দিত লোক গান শিরোনামে একটি অনুষ্ঠানের সূচনা করেন, যার মাধ্যমে তিনি এ অঞ্চলের হারিয়ে যাওয়া গান সংরক্ষণের উদ্যোগ নেন। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ বেতার সমৃদ্ধ হয় পাগলা কানাই, পাঞ্জু শাহ, দুদ্ধ শাহ, বেহাল শাহ ও মোসলেম বয়াতির গানে। এছাড়া তিনি এ অঞ্চলের বিয়ের গান, কবি গান, হালৈ ও অষ্টকগান প্রচার ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেন। এক্ষেত্রে তিনি এসব গানের মূল শিল্পী বা তাদের শিষ্যদের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে খুঁজে স্টুডিওতে এনে মূল সুরে গান রেকর্ডের উদ্যোগ নেন।
এছাড়া তিনি বাংলাদেশ বেতার সদর দপ্তরের সানুগ্রহে এ অঞ্চলের বিশ্বখ্যাত সাধক ও বাউল লালন ফকির ও পাগল বিজয় সরকারের গান প্রচারের জন্য নির্দিষ্ট অনুষ্ঠান সূচিতে বিশেষ চাঙ বা নির্ধারিত সময়ের ব্যবস্থা করেন। নিয়মিত বিরতিতে খুলনা বেতারের বিভিন্ন শাখায় অডিশন ও গ্রেডেশনের মাধ্যমে তিনি এ অঞ্চলের যোগ্য শিল্পীদের বাছাইয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
বাংলাদেশ বেতার, খুলনা অঞ্চলের আওতাভুক্ত ১০টি জেলার অধিকাংশ জায়গায় বেতার শ্রোতাক্লাব ও কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে কৈশোরের অগ্রদূত বেতার শ্রোতাক্লাব গঠনের মাধ্যমে মোঃ বশির উদ্দিন বেতারকে প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। তিনি আঞ্চলিক পরিচালক থাকাকালে বাংলাদেশ বেতার, খুলনা ইউনিসেফের সহায়তায় উপকূলীয় দুর্গম এলাকার স্কুলগুলোর ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে কুইজ প্রতিযোগিতা, জীবন দক্ষতা প্রশিক্ষণ, মৌলিক আচরণগত বিষয়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমও পরিচালনা করেন।
খুলনা গেজেট/এআইএন