ঋতুর পালা বদলে এখন এসেছে শীতকাল। এই ঋতুতে শরীরের বাড়তি যত্ন নিতে হয়। ত্বক ও চুলের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয় শীতে। আর এ কারণে এ সময় খুব বেশি চুল পড়তে থাকে। সেই সঙ্গে শীতে বাতাসে আর্দ্রতা কমে যাওয়ার কারণে চুল নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। এসব সমস্যার সমাধান দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে চুলের যত্ন কীভাবে করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত উঠে এসেছে।
১. চুল ময়েশ্চারাইজ করুন: শীতের শুষ্ক বাতাস চুলের ময়েশ্চার শোষণ করে। হাইড্রেটিং শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করে ময়েশ্চার ধরে রাখুন। এছাড়া, সপ্তাহে একবার ডিপ-কন্ডিশনিং ট্রিটমেন্ট যোগ করুন যা শুষ্কতা দূর করতে সহায়ক।
২. চুল ঘনঘন ধোয়া এড়িয়ে চলুন: অতিরিক্ত ধোয়ার ফলে চুলের প্রাকৃতিক তেল হারিয়ে যায়, যা শুষ্কতার জন্য দায়ী। শীতকালে চুল ২-৩ দিন পরপর ধোয়ার চেষ্টা করুন এবং এমন একটি মৃদু শ্যাম্পু ব্যবহার করুন যা চুল পরিষ্কার করবে কিন্তু শুকিয়ে ফেলবে না।
৩. কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন: গরম পানিতে চুল ধোয়া আরামদায়ক মনে হতে পারে, তবে এটি চুলের জন্য ক্ষতিকর। চুল ধোয়ার সময় কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন, যা শুষ্কতা প্রতিরোধ করবে এবং প্রাকৃতিক তেল ধরে রাখবে।
৪. বাইরে চুল সুরক্ষিত রাখুন: ঠান্ডা বাতাস চুলকে ভঙ্গুর এবং রুক্ষ করে তুলতে পারে। বাইরে যাওয়ার সময় টুপি বা স্কার্ফ ব্যবহার করুন। তবে, ফ্রিকশন এবং ভাঙন এড়াতে সিল্ক বা সাটিনের আস্তরণের টুপি বা স্কার্ফ বেছে নিন।
৫. নিয়মিত চুল ছাঁটাই করুন: শীতের শুষ্কতার কারণে চুলের ডগা ফেটে যেতে পারে। প্রতি ৬-৮ সপ্তাহে একবার চুল ছাঁটাই করুন যাতে এটি সুস্থ এবং ক্ষতিহীন থাকে।
৬. চুলে হিট না দেয়া: স্ট্রেইটনার বা কার্লিং আয়রনের মতো স্টাইলিং টুলে হিট হয় তাই এ সবের অতিরিক্ত ব্যবহার শুষ্কতা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। চেষ্টা করুন চুল প্রাকৃতিকভাবে শুকানোর অথবা তাপ ছাড়া স্টাইলিং পদ্ধতি ব্যবহার করার।
৭. পর্যাপ্ত পানি এবং পুষ্টিকর খাবার: সুস্থ চুলের জন্য শরীরের ভেতর থেকে যত্ন নেয়া জরুরি। প্রচুর পানি পান করুন এবং ভিটামিন এ, সি এবং ই সমৃদ্ধ খাবার, পাশাপাশি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড অন্তর্ভুক্ত করুন যা শীতকালে চুল পুষ্ট রাখে।
শীতকালে চুলের যত্ন নেওয়া কঠিন নয়। এই সহজ টিপসগুলো মেনে চলুন এবং আপনার চুল থাকবে নরম, শক্তিশালী এবং সুন্দর। নিয়মিত যত্ন নিন, চুল আপনাকে এর প্রতিদান দেবে।
খুলনা গেজেট/এনএম