শীতকালে সবার মধ্যে কিছুটা আড়ষ্ট ভাব, উদ্যমহীনতা ও বিষণ্নতা দেখা দেয়; যা একটি স্বাভাবিক মনোদৈহিক পরিবর্তন। কিন্তু এর কারেণ যদি দৈনন্দিন কাজে বিঘ্ন ঘটে, ব্যক্তিগত ও সামাজিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে বিষয়টি হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই।
শীতপ্রধান দেশে এই শীতকালীন বিষণ্নতার প্রকোপ বেশি দেখা যায়। নারীদের এ সমস্যার ঝুঁকি পুরুষদের দ্বিগুণ। যারা দিনের বেশিরভাগ সময় অপর্যাপ্ত আলোয় ঘরের ভেতর কাজ করেন, তাদেরও এ সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
লক্ষণগুলো হলো অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ, সকালে বিছানা থেকে উঠতে তীব্র অনীহা, শর্করা ও মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যাওয়া, ওজন বৃদ্ধি ইত্যাদি। এছাড়া সব বিষয়ে অনাগ্রহ, একাকিত্ব বোধ, বন্ধু-বান্ধব ও সামাজিকতা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেওয়া বা গুটিয়ে থাকা, নেতিবাচক চিন্তা, অপরাধবোধে ভোগা ইত্যাদিও হতে পারে।
শীতকালীন বিষণ্নতা রোধে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট সূর্যের আলোয় হাঁটাহাঁটি করতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম করুন, নিজেকে নানা কাজে ব্যস্ত রাখুন; বন্ধু সান্নিধ্য ও সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
তবে কেউ বিষণ্নতায় আক্রান্ত হলে তাকে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধও সেবন করতে হতে পারে। পাশাপাশি কাউন্সেলিং ও সাইকোথেরাপি নিতে হতে পারে।
শীতকালীন বিষণ্নতার কারণে কর্মোদ্যম কমে যাওয়া, পিছিয়ে পড়া এমনকি আত্মহত্যার প্রবণতাও বাড়তে পারে, তাই একে অবহেলা করা উচিত নয়।
খুলনা গেজেট/ বিএমএস