নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে শতাধিক যাত্রী নিয়ে একটি লঞ্চডুবির ঘটনায় এক শিশুসহ চার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ সদর নৌথানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে।
এর আগে রোববার (২০ মার্চ) বেলা আড়াইটার দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে শতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি ডুবে যায়।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, রোববার বেলা আড়াইটার দিকে বন্দর থানার আল আমিন নগর ও সৈয়দপুরের মাঝামাঝি কয়লাঘাট এলাকায় নির্মিতব্য নাসিম ওসমান ব্রিজের কাছে একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চটি ডুবে যায়।
স্থানীয়রা জানান, ডুবে যাওয়া লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সীগঞ্জ যাচ্ছিল। এতে শতাধিক যাত্রী ছিল। তাদের মধ্যে অনেকে সাঁতরে তীরে উঠেছেন। তবে অনেক যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানান যাত্রী ও স্থানীয়রা।
নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি বদিউজ্জামান বলেন, বেলা ২টার দিকে টার্মিনাল থেকে যাত্রীবাহী লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন রূপসী-৯ কার্গো যাওয়ার পথে লঞ্চটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চটি ডুবে যায়।
নারায়ণগঞ্জ সদর নৌথানা পুলিশের ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, দুপুর ২টা ৪৪ মিনিটের দিকে আমরা খবর পাই শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো জাহাজ এমভি রূপসী মুন্সীগঞ্জগামী যাত্রীবাহী লঞ্চটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। খবর পাওয়ার পর আমাদের নৌপুলিশের উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে গেছে। পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিটও উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছে।
খুলনা গেজেট/এএ