খুলনা, বাংলাদেশ | ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৬ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  চিকিৎসা শেষে দীর্ঘ চার মাস পর দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, গুলশানের বাসভবন ফিরোজার পথে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর, পথে পথে নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাস
  জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু

শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আরও চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ

গেজেট ডেস্ক

মাগুরার আলোচিত শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ষষ্ঠ দিনে চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। সোমবার (৫ মে) ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে শিশুটির সুরতহাল করা গুলশান থানার এসআই আঞ্জুমান আরা, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সব্যসাচী রায়, মামলার রেকর্ডিং অফিসার মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আলাউদ্দিনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।

এ নিয়ে মামলার মোট ২৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। আসামিরা এ সময় আদালতে হাজির ছিলেন। পর্যায়ক্রমে ৩৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল বলেন, মাগুরার চাঞ্চল্যকর শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। সোমবার ষষ্ঠ দিনে মামলার চারজন সাক্ষীকে উপস্থাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকার দুইজন চিকিৎসকের সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে।

গত ১৩ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মাগুরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে বিচার কাজ শুরু হয়।

প্রসঙ্গত, মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রাম থেকে শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় আট বছর বয়সী শিশুটি। ধর্ষণের পর তাকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টাও করা হয়। ৬ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ১৩ মার্চ দুপুরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়। সেদিন সন্ধ্যায় শিশুটির মরদেহ হেলিকপ্টারে করে মাগুরায় নেওয়া হয়। মাগুরা শহরের নোমানী ময়দানে প্রথম জানাজা ও পরে শ্রীপুর উপজেলার সব্দালপুর ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে স্থানীয় সোনাইকুন্ডী গোরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!