নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে পালানোর পর কোম্পানীগঞ্জ থানায় আটক ১২ রোহিঙ্গাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার (১২ জুন) বিকেলে জেলার ২ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক শেখ মোহাম্মদ মহিব উল্লাহ তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আটক রোহিঙ্গাদের সঙ্গে থাকা তাদের শিশুদের জেলার শিশু আদালত-১ এ তোলা হয়। তাদের মধ্যে ১১ মাস বয়সী ও চার বছর বয়সী দুই শিশুকে বিচারক জয়নাল আবেদিন তাদের বাবা-মায়ের সঙ্গে রাখার আদেশ দেন।
আটকরা হলেন আবুল খায়ের (৩৫), খতিজা বেগম (৭৫), ছমিনা বেগম (৩০), মো. ইউনুস (৩৫), মো. সিদ্দিক (২১), রাশিদা বেগম (২৩)। এছাড়া ১৬, ১৩, ৮, ৬ ও ৪ বছর বয়সী পাঁচ শিশু এবং ১১ মাস বয়সী একটি শিশু রয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক রিয়াদুল হাসান জানান, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ১৯৪৬ সালের বিদেশি নাগরিক সম্পর্কিত আইনের ১৪র ধারায় মামলা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১১ জুন) বেলা ১১টায় ভাসানচর থেকে পালিয়ে আসা নারী-শিশুসহ ১২ রোহিঙ্গাকে আটক করে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ। তাদেরকে কক্সবাজার নেওয়ার কথা বলে কোম্পানীগঞ্জের চরএলাহী ঘাটে নামিয়ে দিয়ে যায় দালাল ও নৌকার মাঝিরা।
এর আগে গত ২০ মে ভাসানচর থেকে পালিয়ে যাওয়া দুই রোহিঙ্গা কিশোরীকে সুবর্ণচরে আটক করে স্থানীয়রা। ওইদিন রাত ৮টার দিকে সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের মেঘনা মার্কেট সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী। তবে তাদের সঙ্গে থাকা দুই পুরুষ রোহিঙ্গা এ সময় পালিয়ে যায়।