খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ পৌষ, ১৪৩১ | ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে ঢাকার চিঠি গ্রহণ করেছে দিল্লি, নিশ্চিত করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী মুখপাত্র
  ২০২৫ সালে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছুটি ৭৬ দিন, একটানা বন্ধ ২৮ দিন

শিশুর পিতৃপরিচয় সনাক্তের দাবি মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট

বাগেরহাটে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে ৯ বছর বয়সী বাক প্রতিবন্ধী শিশু হোসেন’র পিতৃপরিচয় সনাক্তের দাবি করেছেন ফাতেমা বেগম (৪৮) নামের এক নারী। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী।

ফাতেমা বেগম বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়নের খালকুলা গ্রামের আফসার খানের মেয়ে।

ফাতেমা বেগমের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সেভ দ্য ফিউচার ফাউন্ডেশন বাগেরহাট জেলা শাখার উপদেষ্টা আইনজীবী সিকদার ইমরান হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, একই এলাকার মৃত গফুর শেখের ছেলে সরোয়ার শেখ তাকে ধর্ষণ করার ফলে ২০১৩ সালের শেষের দিকে গর্ভবতী হন মানসিক ভারসাম্যহীন ফাতেমা বেগম। বিষয়টি গোপন রাখতে সরোয়ার শেখ ফাতেমাকে ভয়-ভীতি দেখায়। এই অবস্থায় ২০১৪ সালে বাচ্চাটি জন্মগ্রহণ করে। তখন সরোয়ার শেখ ওই সন্তানের দায়ীত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানায়। বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ইউপি চেয়ারম্যান কে জানালে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে সন্তানের পরিচয় ও ভরণপোষণ দিবে মর্মে সালিশ মীমাংসা হয়। কিন্তু তারপর থেকে সরোয়ার শেখ ভরপোষন দেয় না।

সিকদার ইমরান হোসেন বলেন, ফাতেমা বেগম একজন অসহায় সম্বলহীন নারী। এলাকার বিভিন্ন হাট-বাজারে ভিক্ষা ও প্রতিবেশীদের কাছ থেকে সহায়তা নিয়ে তার সংসার চলে। অর্থবিত্ত আত্মীয়-স্বজন সামাজিক অবস্থান না থাকায় এবং সারোয়ার শেখ প্রভাবশালী হওয়ায় সে তার সন্তানের পিতৃপরিচয় সনাক্ত করতে পারছেন না। তার সন্তানের বয়স বর্তমানে ৯ বছর হলেও পিতৃপরিচয় না থাকার কারণে সে সরকারের বিভিন্ন ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জন্ম নিবন্ধন করতে পারছে না। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি প্রশাসন কিংবা আত্মীয়-স্বজন এতদিনেও বাচ্চাটির পিতৃপরিচয় শনাক্তে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাই।

ফাতেমা বেগমের পক্ষে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগে দ্রুত ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে বাক প্রতিবন্ধী শিশুটির পিতৃপরিচয় সনাক্তের জোর দাবি জানান এই আইনজীবী।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সরোয়ার শেখের সাথে কথা বলার জন্য মুঠোফোনে কল করা হলে, আতিয়ার নামের এক ব্যক্তি ফোন রিসিভ করেন। পরিচয় দিলে নিজেকে সরোয়ারের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে তিনি বলেন, সরোয়ার ভাই নেই। আপনার সাথে তাকে নিয়ে সামনাসামনি দেখা করে সব বিষয় খুলে বলব।

খুলনা গেজেট/ টিএ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!