ফাইনালে অধিনায়কের মতোই ব্যাট করলেন কেনে উইলিয়ামসন। বাংলাদেশের বিপক্ষে বিশ্রামে থেকে ফাইনালে ফিরেই খেললেন দুর্দান্ত এক ইনিংস। তার ৩৮ বলে খেলা ৫৯ রানের ঝড়ো ইনিংসের ওপর ভর করে পাকিস্তানকে ১৬৪ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
কেনে উইলিয়ামসনের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪টি বাউন্ডারি আর ২টি ছক্কায়। নিউজিল্যান্ডের অন্য কোনো ব্যাটার বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। যার ফলে সংগ্রহটা খুব বেশি বড় হয়নি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯ রান এসেছে গ্লেন ফিলিপসের ব্যাট থেকে। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিক কিউইরা।
প্রথম ওভারে ফিন অ্যালেনকে ফিরিয়ে দেন নাসিম শাহ। এরপর ডেভন কনওয়েকে নিয়ে ভালোই জুটি গড়ে তোলেন অধিনায়ক কেন উইয়িামসন। কিন্তু জুটিটাকে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে দিলেন না পাকিস্তানি পেসার হারিস রউফ। ৬ষ্ঠ ওভারে ডেভন কনওয়ের উইকেটই উপড়ে ফেলেন তিনি।
১৭ বলে ১৪ রান করে নিজেকে মেলে ধরার অপেক্ষায় ছিলেন কনওয়ে। কিন্তু হারিস রউফের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে গেলেন তিনি। একই ওভারে চতুর্থ বলে হারিস রউফের বল ডিফেন্স করতে গেলেন গ্লেন ফিলিপস। কিন্তু বলের আঘাতে ব্যাটের নিচের অংশ ভেঙে যায়।
ফাইনাল হবে ফাইনালের মত আকর্ষণীয়। থাকবে টান টান উত্তেজনা। একের পর এক চার-ছক্কার প্রদর্শনী। আবার উইকেটও পড়বে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট তো এমনই।
ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালের শুরুতে ঠিক এমনটাই দেখা যাচ্ছে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই পাকিস্তানি পেসার নাসিম শাহকে তিনটি বাউন্ডারি মারলেন নিউজিল্যান্ড ওপেনার ফিন অ্যালেন।
কিন্তু তিন বাউন্ডারি হজম করে দমে গেলেন না নাসিম শাহ। উল্টো ভিন্ন কৌশলে বল করেই উইকেট তুলে নিলেন প্রথম ওভারে। অফসাইডের বাইরে লেন্থ বল করলেন নাসিম। পেছনের পায়ে ভর করে জায়গা বের করে খেলতে চাইলেন অ্যালেন। কিন্তু এক্সট্রা কভারে দিলেন ক্যাচ তুলে। মোহাম্মদ নওয়াজের জন্য ক্যাচটা খুব কঠিন ছিল না।
প্রথম ওভারে ১২ রান উঠলেও ওপেনার অ্যালেনের উইকেট হারাতে হলো নিউজিল্যান্ডকে।