শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটের এনায়েতপুরি ও শাহ পরান দুই ফেরিতে ভিড়ের চাপে এক কিশোরসহ পাঁচজন জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরের দিকে ফেরিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া কিশোরের নাম আনছার মাদবর (১২)। কিশোর আনছারের বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায়। সে নড়িয়ার কালিকা প্রসাদ গ্রামের গিয়াস উদ্দিন মাদবরের ছেলে এবং বাকি চার জনের দুই জন মহিলা ও দুই জন পুরুষের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। তবে তাদের মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন শিবচর থানা পুলিশ।
ঘাট সূত্রে জানা গেছে, তিন নম্বর ফেরিঘাটে শাহ পরান নামের রোরো ফেরিটি ভিড়লে নামার সময় যাত্রীদের চাপে কিশোর আনছার মাদবর যাত্রীদের চাপে অসুস্থ হয়ে ফেরির পন্টুনেই মারা যায়। এরপর দুপুরে এনায়েতপুরি নামে একটি ফেরি শিমুলিয়া থেকে ছেড়ে আসে কিন্ত ফেরিটি ছাড়ার আগে প্রায় তিন ঘণ্টা শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছাড়তে দেরি করে এছাড়া প্রচন্ড তাপদাহের কারণে ফেরির মধ্যে দুই মহিলা ও দুই পুরুষ মারা যায়। এবং কমপক্ষে ২০জন অসুস্থ হয়ে পড়ে। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের এখনো পরিচয় জানা যায়নি।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন জানান, পাঁচ জনের দুই জন মহিলা ও দুই জন পুরুষের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। এক কিশোরের পরিচয় পাওয়া গেছে। আমরা বাকি লাশগুলোর পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করছি।
খুলনা গেজেট/এনএম