ভারতে শিগগিরই ট্যুরিস্ট ভিসা পুনরায় চালু করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী মঙ্গলবার বলেছেন, এখন বাংলাদেশ এবং ভারতে কোভিড-১৯ টিকা দেয়ার মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার অপেক্ষা করছেন তারা।
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে দোরাইস্বামী সাংবাদিকদের বলেন, `আশা করি গিগগিরই সম্ভব হবে। আমরা বাস্তবিক অর্থেই টুরিস্ট ভিসা দেয়া শুরু করতে চাই। বাংলাদেশ ও ভারতে টিকা দেয়ার মধ্যেদিয়ে মানুষের আস্থা আরো বাড়বে।’হাইকমিশনে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে কথা বলছিলেন হাইকমিশনার।
তিনি বলেন, তারা বিশ্বাস করেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও ভারত ও বাংলাদেশ এক সাথে এগিয়ে যাবে এবং তারা তাদের প্রতিবেশীদের বিশেষত বাংলাদেশের সাথে যতটা সম্ভব নিবিড়ভাবে কাজ করতে চায়।‘এই কারণেই উপহার এবং বাণিজ্যিক উভয়ভাবেই ভারত থেকে ভ্যাকসিন পাওয়া প্রথম দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম,’ বলেন দোরাইস্বামী।
বাংলাদেশে খুব দ্রুতই টিকাদান শুরু হবে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক ডা. তেদরোস আধানম গেব্রেয়াসুসের বরাত দিয়ে বলেন, এই রোগ থেকে কেউই একা রক্ষা পেতে পারবে না।
ভারতের জাতীয় রাজধানী নয়াদিল্লির মূলকেন্দ্র রাজপথে মঙ্গলবার দেশটির প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে প্রথমবারের মতো নেতৃত্ব দিয়েছে বাংলাদেশী তিন বাহিনীর কন্টিনজেন্ট।
পাকিস্তানের কাছ থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর স্মরণে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের প্রথম ১০ সারিতে ছিলেন বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ১২২ সদস্য।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহতাশিম হায়দার চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন বাহিনীর কন্টিনজেন্টের প্রথম ছয় সারিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পরের দুই সারিতে নৌবাহিনী ও শেষের দুই সারিতে বিমানবাহিনী ছিল।