বাগেহাটের মোরেলগঞ্জে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে এক মাদরাসা সুপারকে চাকুরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। উপজেলার কাঁঠালতলা গিয়াসিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মো.আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নিয়েছেন মাদরাসা পরিচালনা কমিটর সদস্যরা।
একই ঘটনায় নরী-শিশু নির্যাতন দমন আইন ট্রাইুনালে একটি মামলাও দায়ের হয়েছে। যার নং- ২৮৬/২২। মাদরাসার কম্পিউটার বিভাগের শিক্ষক শবনম মোস্তারী মামলাটি দায়ের করেছেন। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বাগেরহাট মামলাটি তদন্ত করে অভিযোগ পত্র দাখিল করেছে।
বিজ্ঞ আদালত গত ২৭ নভেম্বর এ মামলার একমাত্র আসামি মাদরাসা সুপার মাওলানা আব্দুল হালিমকে আটক করে আদালতে হাজির করার জন্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। সুপার হালিম এখন পলাতক রয়েছেন।
মামলার বাদি শবনম মোস্তারী অভিযোগ করে বলেন, সুপার হালিমের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস করেনা। তার পিছনে রয়েছে রাঘব বোয়ালদের হাত। সে আমাকে বহুদিন ধরে যৌন হয়রানি করেছে। গোপনে ভিডিও ধারণ করে ব্লাক মেইলের চেষ্টা করেছে। প্রতিমাসে বেতন তুলে সুপারকে ৫ হাজার টাকা করে দিতে হয়। অশ্লীন ভাষায় শিক্ষকদের সাথে দুব্যবহার করেন তিনি। বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে বিচার পাইনি। থানা পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে নিরুপায় হয়ে আদালতে মামলা করি। আশা করি ন্যায় বিচার পাবো।
এ বিষয়ে মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি শহিদুজ্জামান সাবু রবিবার এ প্রতিনিধিকে বলেন, সুপার আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে আনীত সহকারি শিক্ষিকা কম্পিউটার শিক্ষক শবনম মোস্তারীর আনীত অভিযোগ সত্য। আদালতে মামলাও হয়েছে। সে কারনে তাকে গত ২৯ নভেম্বর সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়াও মাদরাসা সংস্কারের জন্য সুপার ৪ লাখ টাকার কোন কাজ দৃশ্যমান দেখাতে পারেনি। সম্প্রতি ৪টি নিয়োগের ক্ষেত্রে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। তাকেও অবহিত করেনি।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই এর এসআই গুরুদাস মন্ডল বলেন, দীর্ঘ তদন্তে মাদরাসা সুপার আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে আনীত যৌন নিপীড়নের অভিযোগের সতস্য পাওয়া গেছে। আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করা হয়েছে।
এ সর্ম্পকে মাদ্রাসা সুপার আব্দুল হালিম বলেন, তিনি ছুটিতে রয়েছেন সাময়িক বরখাস্তের কোন চিঠি পাননি। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই