খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  অ্যান্টিগা টেস্ট: প্রথম দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলল ২৫০, বাংলাদেশ পেল ৫ উইকেট
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ভাইস-চ্যান্সেলর

‘শিক্ষা ও গবেষণায় কুয়েটকে বিশ্বমানের স্থানে নিয়ে যাওয়াই মূল লক্ষ্য’

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ১ সেপ্টেম্বর (বুধবার) খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এর ১৮ তম বর্ষপূর্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদ্যাপন কমিটির সভাপতি ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ।

ভৈরব-রূপসা বিধৌত এ পাদপীঠে দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রতি বছর জাঁকজমকপূর্ণভাবে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করলেও করোনা মহামারীর বর্তমান পরিস্থিতিতে এবছর সংক্ষিপ্ত আয়োজন গ্রহণ করা হয়। সকাল ৯টায় জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে সঙ্গে উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদ্যাপন কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ এবং উদ্বোধন ঘোষণা করে বক্তৃতা করেন প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন।

এ সময় তিনি বলেন, ‘শিক্ষা ও গবেষণায় কুয়েটকে বিশ্বমানের স্থানে নিয়ে যাওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংযুক্ত সকলকে তার নিজ নিজ স্থান থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সচেষ্ট থাকতে হবে।’

বক্তৃতা শেষে প্রধান অতিথি বেলুন উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের উদ্বোধন করেন। এরপর সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘দুর্বার বাংলা’ প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ ও ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয় এর বাসভবন সংলগ্ন পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ, সাড়ে ১০ টায় কুয়েটের অর্জন : অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত-শীর্ষক প্রেজেন্টেশন (অনলাইনে), ১১টায় আলোচনা সভা (অনলাইনে) ও বাদ আছর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ২০২১ উদ্যাপন কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. কে, এম, আজহারুল হাসান, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর মোঃ গোলাম কাদের ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ আনিছুর রহমান ভূঞা।

জনসংযোগ ও তথ্য শাখার সহকারী পরিচালক মনোজ কুমার মজুমদার এর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কুয়েট এলামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি প্রফেসর ড. বাসুদেব চন্দ্র ঘোষ, আইইপিটি এর পরিচালক প্রফেসর ড. এ এন এম মিজানুর রহমান, আর্কিটেকচার বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. কাজী হামিদুল বারী, আইআইসিটি’র পরিচালক প্রফেসর ড. মহিউদ্দিন আহমাদ, মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া, মেটেরিয়ালস সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. পল্লব কুমার চৌধুরী, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. পিন্টু চন্দ্র শীল, ড. এম এ রশীদ হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. সজল কুমার অধিকারী, এ প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ডিপিডিসি’র বোর্ড ডিরেক্টর প্রকৌশলী মোল্লা আবুল হোসেন, বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পাওয়ার সেল এর পরিচালক প্রকৌশলী শেখ মুনির আহম্মেদ, বাংলাদেশ পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি প্রকৌশলী শাহ আবিদ হোসেন, শেখ মেশিনারী এর সিইও প্রকৌশলী শেখ মাসুম কামাল, রোডস এন্ড হাইওয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তাপসী দাস, শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে প্রতিক চন্দ্র বিশ্বাস, বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে প্রকৌশলী হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ, প্রকৌশলী মোঃ মাহমুদুল হাসান, প্রকৌশলী মোঃ রুহুল আমীন, ‘খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো ও একাডেমিক কার্যক্রম সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী ড. মোঃ জুলফিকার হোসেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কুয়েট শাখার সাধারণ সম্পাদক, সাদমান নাহিয়ান সেজান, কর্মকতা সমিতির ( আপগ্রেডেশন) সভাপতি জি এম মনিরুজ্জামান ও কর্মচারী সমিতির (৩য় শ্রেণী) সভাপতি মোঃ মামুনুর রশীদ। আলোচনা সভার পূর্বে কুয়েটের অর্জনঃ অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যৎ- শীর্ষক প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) প্রফেসর ড. কাজী এবিএম মহীউদ্দিন।

উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে খুলনা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে, ১৯৬৮ সালে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন এবং ১৯৭৪ সালের ০৩ জুন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশেষ নির্দেশনায় একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়ে ১৯৮৬ সালের ০১ জুলাই এ প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজী (বিআইটি), খুলনায় পরিণত হয় এবং ২০০৩ সালের ০১ সেপ্টেম্বর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়। সূত্র : প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!