খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ পৌষ, ১৪৩১ | ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে ঢাকার চিঠি গ্রহণ করেছে দিল্লি, নিশ্চিত করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী মুখপাত্র
  ২০২৫ সালে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছুটি ৭৬ দিন, একটানা বন্ধ ২৮ দিন

শিক্ষক প্রশিক্ষণ নিচ্ছে তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটের চিতলমারীতে মোঃ শাকিল হাসান মুন্না নামে তৃতীয় শ্রেণীর এক কর্মচারী নতুন কারিকুলামের সহকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। সে বড়বাড়িয়া রহমানিয়া ডিগ্রি মাদ্রাসার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের (সেসিপ’র) নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ওই কর্মচারী ইতোমধ্যে জীবন ও জীবিকা বিষয়ে পাঁচদিন প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এ ঘটনায় চিতলমারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও বড়বাড়িয়া রহমানিয়া ডিগ্রি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ একজন অন্য জনকে দোষারোপ করছেন।

চিতলমারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তর থেকে জানা গেছে, গত ১৯ ডিসেম্বর চিতলমারী হাসিনা বেগম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে সাতদিন ব্যাপী অষ্টম ও নবম শ্রেণীর নতুন কারিকুলামের ১১ টি বিষয়ে সহকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ শুরু হয়। এতে উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রসাসহ ৩৯ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪১৫ জন সহকারি শিক্ষক অংশ গ্রহণ করেণ। প্রশিক্ষণ শেষে একজন শিক্ষক ৬ হাজার ৬২২ পাবেন। এখানে প্রশিক্ষক হিসেবে ৩০ জন প্রশিক্ষিত শিক্ষক প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। আগামী ২৬ ডিসেম্বর এ প্রশিক্ষণ শেষ হবে।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) জানা গেছে তথ্য গোপন করে বড়বাড়িয়া রহমানিয়া ডিগ্রি মাদ্রাসার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মোঃ শাকিল হাসান মুন্না গত পাঁচদিন ধরে এ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।

এ ব্যপারে বড়বাড়িয়া রহমানিয়া ডিগ্রি মাদ্রাসার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মোঃ শাকিল হাসান মুন্না বলেন, ‘আমার প্রশিক্ষণের বিষয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও উপজেলা শিক্ষা অফিস সব কিছুই জানেন। তারা না জানলে আমি কি সহকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণে অংশ নিতে পারতাম?’

বড়বাড়িয়া রহমানিয়া ডিগ্রি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ মাশুকুর রহমান বলেন, ‘এমনটি হওয়ার কথা নয়। যদি এমনটি হয়ে থাকে তাহলে সে আমার প্রত্যয়ন পত্র জাল করেছে। আর সে যে তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী এটাতো মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস জানেন। তারা তাকে কিভাবে প্রশিক্ষণ দিলেন?’

চিতলমারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোছাঃ কামরুননেছা বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান প্রধান কিভাবে প্রত্যয়ন পত্র দিলেন এটা আমরা খতিয়ে দেখব। কারণ তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে যেন তথ্য গোপন বা নির্দেশনার বাইরে কোন শিক্ষক না পাঠায়।’

বাগেরহাট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম ছায়েদুর রহমান জানান, নতুন কারিকুলামের সহকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণে কোন ভাবেই প্রধান শিক্ষক, সহকারি প্রধান শিক্ষক ও তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী অংশ নিতে পারবেন না। তাদের জন্য সামনে প্রশাসনিক প্রশিক্ষণ হবে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব।

খুলনা গেজেট/ এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!