বরগুনায় প্রতিপক্ষ এনামুল হক নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে ফাঁসাতে ধর্ষণের মামলা করেন তানিয়া আক্তার নামে এক তরুণী।
মামলাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এনামুল হককে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। পরে হয়রানির প্রতিকার দাবি করে তানিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেন মাদ্রাসা শিক্ষক এনামুল।
মামলায় বৃহস্পতিবার (৯ জুন) তানিয়াকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। আসামি তানিয়া বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের সোনা মিয়ার মেয়ে।
জানা যায়, বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের এনামুল হক একই ইউনিয়নের তানিয়া আক্তারের পৈত্রিক জমি কবলা সূত্রে ভোগ করেন। কিন্তু তানিয়ার পরিবার জমি সঠিকভাবে বুঝিয়ে না দেওয়ায় বরগুনা আদালতে বণ্টন মামলা করেন শিক্ষক এনামুল হকের পরিবার। জমিজমা সংক্রান্ত এসব বিবাদের জেরে প্রতিপক্ষ এনামুলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে গণধর্ষণ মামলা করেন তানিয়া আক্তার। তবে মামলাটি উদ্দেশপ্রণোদিত হওয়ায় আদালত ওই মামলা থেকে এনামুলকে অব্যাহতি দেয়।
অন্যদিকে, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিকার চেয়ে তানিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেন এনামুল। ওই মামলায় পুলিশ তানিয়াকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
বরগুনা সদর থানার ওসি আলী আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই