ইমরান খান বিরোধী পিএমএল-এন নেতা শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন। সোমবার (১১ এপ্রিল) পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে তিনিই প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে কালই (১১ এপ্রিল) শাহবাজ ও তার ছেলে হামজা শাহবাজের বিরুদ্ধে ১ হাজার ৪০০ কোটি রুপি পাচারের মামলায় অভিযোগ গঠনের দিন রয়েছে আদালতে। এ বিষয়ের উল্লেখ করে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর পদ হারানো ইমরান খানের দলের নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী আজ বলেছেন, এটা পাকিস্তানের জন্য বড় লজ্জার বিষয়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডন রোববার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে। আগেই প্রধানমন্ত্রী পদে শাহবাজের প্রার্থিতা নিয়ে আপত্তি তুলেছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।
তাদের আপত্তি আমলে না নিলে আগামীকাল সোমবারই পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদ থেকে পিটিআইয়ের আইনপ্রণেতারা পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রীর পদ হারানো ফাওয়াদ চৌধুরী। শাহবাজকে নিয়ে আপত্তির কথা তুলে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের জন্য এর চেয়ে লজ্জার আর কী হতে পারে যে বিদেশিদের মনোনীত ও তাদের আমদানি করা সরকার এখানে বসানো হচ্ছে, যার প্রধান হচ্ছেন শাহবাজের মতো একজন ব্যক্তি।’
ইসলামাবাদে রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফাওয়াদ চৌধুরী আরও বলেন, শাহবাজ শরিফের মনোনয়নে আমাদের আপত্তি আমলে না নিলে আমরা কাল (সোমবার) পদত্যাগ করব। অর্থ পাচার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পথে থাকা শাহবাজ প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, এটি চরম অবিচার।
পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির একটি বিশেষ আদালতে (সেন্ট্রাল-১) আগামীকাল (১১ এপ্রিল) শাহবাজ ও তার ছেলের অর্থ পাচার মামলায় অভিযোগ গঠনের দিন রয়েছে। কালই এ মামলায় অভিযুক্ত হতে পারেন এই পিতা-পুত্র।
রোববার পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ হারিয়েছেন ইমরান। এই সরকার পতনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অভিযোগ ইমরান ও তার দলের। গত ৮ মার্চ বিরোধীরা পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাব আনার পর থেকেই এ বিষয়ে বলে আসছেন ক্রিকেটতারকা থেকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসা ইমরান খান।