খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  অ্যান্টিগা টেস্ট: তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ২৬৯/৯, পিছিয়ে ১৮১ রানে

শালতা পাড়ের লাখো মানুষের স্বপ্ন পূরণ

তালা প্রতিনিধি

শালতা নদী খনন কাজ শুরু হওয়ার সাথে সাথে নদী পাড়ের লাখো মানুষের মধ্যে জেগে উঠেছিলো বেচে থাকার স্বপ্ন আজ তা বাস্তবে রুপ নিয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ মে) দুপুরে খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা শালতা নদীর বর্তমান অবস্থার পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন কালে শালতা খননের সুফলভোগীদের সাথে কথা বলেন। এসময় সুফলভোগীরা সন্তোষ প্রকাশ করেন।

পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন, খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ রফিক উদ্দীন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পিযুষ কুন্ড ও নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশলাফুল ইসলাম।

সাতক্ষীরার তালা, খুলনার ডুমুরিয়া ও পাইকগাছা উপজেলার সীমানা দিয়ে প্রবাহিত শালতা নদী। একসময়ের খরশ্রোতা এই নদী কালের বিবর্তনে পরিণত হয় মরা নদীতে। ফলে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা, বিপন্ন হয় জনজীবন, কর্মহীন হয়ে পড়ে এলাকার হাজার হাজার খেটে খাওয়া মানুষ। অন্যদিকে লোকসানে পড়ে এলাকার চাষীরা।

একসময় পশ্চিম শালতার জীবন ফিরে পেতে শালতা বাঁচাও আন্দোলনে রাস্তায় নেমে পড়ে  লাখো জনতা। আন্দোলনের ফলে বর্তমান সরকার পশ্চিম শালতা নদী খননে ডেল্টা প্রকল্প- ২০২১ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেন। এ প্রকল্পে ১৩ কিলোমিটার নদীর উপরে অংশে ৩২ মিটার (চওড়া), তলদেশ ১৫ মিটার, গভীরতা সাড়ে তিন মিটার করা হবে উল্লেখ আছে। যা খননে ব্যয় ধরা হয় ১৪.৬৩ কোটি টাকা।

মাগুরখালী, মাছিয়াড়া, বৈঠাহারা, খোরের আবাদ, কাঠবুনিয়া, মুন্সিরআবাদ এলাকার পশ্চিম শালতা পাড়ে ঘুরে কথা হয় স্থানীয়দের সাথে। তালা উপজেলার হান্নান মোড়ল, অচিন্ত মন্ডল , নিশাত মন্ডল জানান, শালতা নদী খনন কাজ শেষ হওয়ায় তারা জলাবদ্ধতার থেকে রেহায় পেয়েছেন। এছাড়া ধান, সবজী এবং মৎস্য চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারছেন ।

এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এস.কে.ই.এস.এ (জেভি) এর ঠিকাদার শামীম আহম্মেদ জানান, সুষ্ঠুভাবে শালতা নদী খনন কাজ শেষ করেছেন। খনন শেষে বাধ কেটে দেওয়ায় এলাকার চিংড়ি চাষীসহ সর্বস্তরের মানুষ উপকৃত হয়েছেন এবং তারা যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড খুলনা-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আরশাফুল আলম জানান, প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে পশ্চিম শালতা নদী খনন কাজ পরিদর্শন করা হয়েছে এবং স্থানীয়দের সাথে কথা বলা হয়েছে। এ নদী খনন হওয়ায় সুফলভোগীরা সন্তোষ্ঠ প্রকাশ করেছেন।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!