একটি হত্যা মামলার আসামির দেয়া তথ্যে অভিযান চালিয়ে ডিবি পুলিশ ২০১৮ সালের একটি চুরি ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে। শার্শার দুটি জুয়েলার্সে অভিযান চালিয়ে একসাথে আটক করেছে চক্রের তিন সদস্যকে। উদ্ধার হয়েছে দুই ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ভাঙা তালা এবং শাবল।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, গত ১ সেপ্টেম্বর শার্শার কাশিয়াডাঙ্গা বড় কবরস্থান থেকে ইস্রাফিল নামে এক বিডি শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে ২৭ আগস্ট রাতে শ্রমিক ইস্রাফিল নিখোঁজ হয়। পরিবারের লোকজন খোঁজাখুজি করে না পেয়ে ২৯ আগস্ট শার্শা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এ জিডি তদন্তে নেমে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মফিজুল ইসলাম সন্দ্বিগ্ধ কয়েক আসামিকে আটক করেন। ইস্রাফিলের মৃতদেহও উদ্ধার হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মফিজুল ইসলাম এজাহারভুক্ত আসামি মেহেদী হাসানকে ১৫ অক্টোবর ঢাকার আশুলিয়া থেকে আটক করে জানতে পারেন ওই হত্যার পেছনে একটি চুরির কাহিনী রয়েছে। একই গ্রামের ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তা রুহুল কুদ্দুসের বাড়িতে ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই রাতে ঘরের তালা ভেঙে স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা চুরি করে হত্যার আসামি নুর আলমের ভাতিজা জনি ও মফিজ। নুর আলম ও আব্দুল আজিজ চুরির স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে নেয়। এ ঘটনায় নিহত ইস্রাফিল জেনে প্রকাশ করে দেয়ার হুমকি দেয়। যার প্রেক্ষিতে অন্যান্য কারণের সাথে এই চুরির কারণ যুক্ত হয়ে ইস্রাফিলকে হত্যার পরিকল্পনা করে আসামিরা।
এ বিষয়ে শার্শা থানায় মামলা রেকর্ড হয়। হত্যা মামলায় আটক আসামিদের রিমান্ডে আনলে তারা সব তথ্য প্রকাশ। এরপর ২৭ অক্টোবর বিকেলে শার্শার নাভারণ রেল বাজারের সানজিদা জুয়েলার্সে ও বাগআঁচড়ার অনিতা জুয়েলার্সে অভিযান পরিচালনা করে ডিবি পুলিশ এক ভরি ১১ আনা চার রতি স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও ভাঙা তালা ও তালা ভাঙার শাবল জব্দ করা হয়। আটক করা হয় কাশিয়াডাঙ্গার আনিছুর রহমানের ছেলে জনি (২১), নুর মোহাম্মদের ছেলে নুর আলম (৪২), রাড়ীপুকুরের মৃত শাহজাহান মীরের ছেলে মেহেদী হাসানকে (২৯)। তারা বৃহস্পতিবার আদালতে স্বীকারোক্তি জবানবন্দী দিয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই