যশোরের শার্শার নিজামপুরে এসএসসি পরীক্ষার্থী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। বুধবার রাত ১১ টার দিকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে। জড়িত আরও তিনজন পলাতক রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের বড় নিজামপুর গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী শাহাজাহান মল্লিকের ছেলে হাসান আলী (২০) ও একই গ্রামের রিজাউল করিমের ছেলে মাসুদ (২০)। জড়িত একই ইউনিয়ের কন্দপপুর গ্রামের মিজান চৌকিদারে ছেলে নুরুজ্জামান (২৭), ফটিকের ছেলে সাকিব (২৮), জাহানের ছেলে নাসিম হোসেন (২৮) পলাতক রয়েছে।
স্কুল ছাত্রীর স্বজনেরা জানান, ধর্ষণের শিকার হওয়া স্কুল ছাত্রীর মা অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। বাড়ি একা থাকায় বুধবার রাত ১১টার দিকে হাসান আলী তার বন্ধু মাসুদকে সাথে নিয়ে ওই বাড়িতে এসে স্কুল ছাত্রীর ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করে। একই সময়ে ঐ এলাকার তিন যুবক নুরুজ্জামান, সাকিব ও নাসিম দুই বন্ধু ও ভিকটিম কিশোরীকে আটক করে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে। একপর্যায়ে নুরুজ্জামান, সাকিব এবং নাসিমও ধর্ষন করে। পরে স্থানীয়রা হাসান আলী ও মাসুদকে আটক করে গোড়পাড়া পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশের কাছে সোর্পদ করে। পরে তাদের ফাঁড়ি থেকে থানায় আনা হয়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম রেজা বিপুল বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। তবে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে এটা সাংবাদিকদের মাধ্যমে শুনেছি। এর বেশি কিছু জানি না।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় দুই জনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রীকে পুলিশ প্রহরায় পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরীক্ষার পর তার জবানবন্দীর জন্য যশোর আদালতে ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পলাতক ৩ আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
খুলনা গেজেট/এসজেড