যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়ায় মোস্তাক ধাবককে হত্যা এবং আরও কয়েকজনকে মারপিটের অভিযোগে চেয়ারম্যান বকুলসহ ২৫ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা হয়েছে।
বুধবার আব্দুল খালেক খতিব ধাবকের ছেলে নিহতের ভাই সাইফুজ্জামান ধাবক বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মামুনুর রহমান অভিযোগটি গ্রহণ করে আদেশের জন্য রেখে দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন, উপজেলার বাগআঁচড়া গ্রামের মৃত একাব্বর মোড়লের ছেলে ইকবাল হোসেন তুতুল, মৃত নুর মোহাম্মদ মন্ডলের ছেলে আবু তালেব মন্ডল, ইদ্রিস আলী বিশ্বাসের ছেলে সোহাগ বিশ্বাস, রশিদ মোড়লের ছেলে তরিকুল ইসলাম, মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে টিংকু হাসান ওরফে ইয়াবা হাসান, আবু তালেব সরদারের ছেলে আসাদ, মৃত সাত্তার গাজীর ছেলে অসীম, মৃত আফিল উদ্দিনের ছেলে নজরুল ওরফে বোমা নজরুল, রবিউল ইসলাম সরদারের ছেলে সোহরাব হোসেন, মৃত বাবর আলীর ছেলে আকবর আলী ধুধুলী, ইদ্রিস আলীর ছেলে ওহিদ, আনছারের ছেলে বেড়ে আলমগীর, বাগআঁচড়া গ্রামের মৃত মোহর আলীর ছেলে ছোট বাবু, সরদারপাড়ার মৃত আফছার আলীর ছেলে আহম্মদ আলী, ঘোষপাড়ার মৃত শুকুর আলীর ছেলে মাসুদ, মৃত কিসমত আলীর ছেলে সাখাওয়াত হোসেন, বামুনিয়া গ্রামের মৃত সিদ্দিক বিশ্বাসের ছেলে ও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কবির বকুল, মৃত কাওছার আলী বিশ্বাসের ছেলে মোকলেসুর রহমান তিতু, মৃত আসমত আলীর ছেলে আশরাফুল হোসেন আশু, বাগআঁচড়া গ্রামের মৃত একুব্বর আলী মোড়লের ছেলে খায়রুল আলম দুষ্টু, মৃত আব্দুর রহিম ফ্যাশানের ছেলে জুয়েল, মৃত সামছুদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে ইদ্রিস আলী বিশ্বাস, মৃত মকছেদ আলী সরদারের ছেলে আবু তালেব সরদার, পিঁপড়াগাছি গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রিয়াজ পারভেজ টিটু ও সাতমাইল গ্রামের সরদারপাড়ার আয়ুব আলী সরদারের ছেলে রিপন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল খালেক খতিব ধাবক বাগআঁচড়া সাতমাইল গরুহাটের ইজারাদার। গত ১৬ নভেম্বর হাটের কাজ শেষে খাজনা আদায়ের নয় লাখ ৭৬ হাজার ও গরু ব্যবসায়ীদের ১৫ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে দু’ ছেলে মোস্তাক ও সাইফুজ্জামানসহ মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। রাত ১১টার দিকে সাতমাইল পশ্চিমপাড়ার বায়তুল মামুন জামে মসজিদের সামনে আসামি ইলিয়াস কবির বকুলের নির্বাচনী অফিসের কাছে পৌঁছালে আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাদের গতিরোধ ও হামলা করে।
এ সময় হামলাকারীদের লাঠি, লোহার রড, শাবলের আঘাতে সকলেই গুরুতর আহত হন। একই সময় হামলাকারীরা তাদের কাছে থাকা নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয় ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। পরে আহতদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মোস্তাকের অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় রেফার করেন চিকিৎসক। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৯ নভেম্বর মোস্তাক মারা যান।
খুলনা গেজেট/ এস আই