যশোরের শার্শায় মাদক ব্যবসায়ীরা নূর আলম (৫৫) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। বুধবার (৩১ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নূর আলম বেনাপোল পোর্ট থানার আমড়াখালি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং একই গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নূর আলমের স্বজন মুন্নি বেগম।
তিনি বলেন, গত ২৮ আগস্ট রাতে আমড়াখালীর ইমান আলীর ছেলে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী বাবু পূর্বশত্রুতার জের ধরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রকাশ্যে নূর আলমকে কুপিয়ে জখম করে। এসময় তার পেটের নাড়ি ভুঁড়ি বের হয়ে যায়। তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে যশোর জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর বুধবার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ওই ঘটনার দিন বাবু তার বাহিনী দিয়ে নুর আলমসহ সাতজনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। নুর আলমের ভাই আহত শাহ আলমের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তিনিও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছেন।
স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, অভিযুক্ত বাবু বিএনপির সক্রিয় ক্যাডার। তার নামে শার্শা থানায় কয়েকটি মামলাও রয়েছে। বাবুর বাড়ি থেকে বিজিবি সদস্যরা একাধিকবার ফেনসিডিলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্যও উদ্ধার করেছে। বাবু সম্প্রতি নূর আলম ও শাহ আলমের মাথা কেটে ফুটবল খেলার ঘোষণা দেয়। এরই প্রেক্ষিতে এ হামলা চালানো হয়েছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি কামাল হোসেন ভুইয়া বলেন, ঘটনার দিন থেকে ওই এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। নুর আলম মারা যাওয়ার খবরটি শুনেছি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/ টি আই