বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের আহ্বান উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
মঙ্গলবার সিলেটে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “সব তাদের মনগড়া। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তারা এসব কথা বলছে। জাতিসংঘে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনী না গেলে আর্মির মধ্যে একটা অসন্তোষ দেখা দেবে, এটাই তারা চায়।”
দুপুরে সিলেট সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়নে দরিদ্রদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন।
যেসব দেশ উন্নতি করে; তাদের দাবিয়ে রাখতে কিছু দেশি-বিদেশি শক্তি কাজ করে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “জাতিসংঘে শান্তিরক্ষী বাহিনীতে যাদের নেওয়া হয়, অনেক যাচাই বাছাই করেই নেওয়া হয়। এটা বাংলাদেশ জানে।
“এসব বিদেশিরা চায় বাংলাদেশ তাদের কাছে হাত পাতবে, সাহায্য নেবে। যাতে তারা নিজেদের ইচ্ছামতো বাংলাদেশকে চালাতে পারে। সরকারের বিরুদ্ধে যে কারো অভিযোগ থাকতেই পারে, কিন্তু একটা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা ঠিক না। সরকার স্থিতিশীল থাকলে দেশের উন্নতি হয়।”
গত শুক্রবার দেওয়া এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলে, বাংলাদেশ তিন দশক ধরে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর সদস্যদের পাঠাচ্ছে। যে দেশগুলো সবচেয়ে বেশি শান্তিরক্ষী পাঠায় তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশের নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী বিশেষ করে র্যাবের অতীতের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বিবেচনায় নিলে বিষয়টি উদ্বেগের।
খুলনা গেজেট/এনএম