শরীয়তপুরের জাজিরায় বাসি খাবার খেয়ে তিন ভাই-বোনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। প্রথমে ভাই-বোনের মৃত্যু হয়। পরে ওই পরিবারের আরেক মেয়ে সাথী (১৪) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাথীর মৃত্যু হয়।
নিহত সাথী উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের মুলাই ব্যাপারীকান্দি গ্রামের শওকত দেওয়ানের মেয়ে। এর আগে শওকত দেওয়ানের ছেলে সৌরভ (৬) ও মেয়ে খাদিজা (৫) মারা যায়।
উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস বেপারী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে বিলাসপুর ইউনিয়নের মুলাই ব্যাপারীকান্দি গ্রামের শওকত দেওয়ানের এক ছেলে ও দুই মেয়েসহ পাঁচজন ফ্রিজে রাখা বাসি খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য শওকত দেওয়ানের এক ছেলে ও দুই মেয়েকে ঢাকায় পাঠানো হয়। কিন্তু পথে তার ছোট ছেলে সৌরভ ও মেয়ে খাদিজা মারা যায়। পরে আরেক মেয়ে সাথীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। ওই পরিবার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বলেছে। আমি থানায় জানিয়েছি। মরদেহ আসলে ময়নাতদন্ত করে দাফন করা হবে।
জাজিরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। আমরা তখন কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে শওকত দেওয়ানের ভাইয়ের স্ত্রী রওশন আরার ফ্রিজে থাকা খাবার গরম করে খান তার স্ত্রী আইরিছ বেগম ও তিন সন্তান। রওশন আরাও সেই খাবার খান। কিছুক্ষণ পর তারা অসুস্থ হয়ে বমি করতে শুরু করেন। বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই পাঁচজনকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হতে থাকলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সৌরভ, খাদিজা ও তাদের বোন সাথী আক্তারকে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন। ঢাকা নেওয়ার পথে সৌরভ ও খাদিজা মারা যায়। অন্যদিকে সাথীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে সাথীও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।