দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনকে অপসারণ নিয়ে ১৩ অভিযোগের ব্যাখ্যা দিলেন সংস্থাটির সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
রোববার দুদকের কনফারেন্স রুমে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেন তিনি। গণমাধ্যমে একপেশে সংবাদ পরিবেশনের অভিযোগ তুলে তিনি শরীফের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের পক্ষে ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আগেই কেন চাকরিচ্যুত করা হলো, দুদক সচিব এমন প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি।
দুদক সচিব বলেন, অভিযোগের বিষয়ে শরীফ উদ্দিনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বহু অভিযোগ কমিশনে থাকায় তাকে অপসারণ করতে হয়েছে। চাকরি বিধিমালার ৫৪ (২) বিধিতে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই অপসারণের বিধান রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের প্রকৃতি অনুযায়ী দুদক ছাড়াও দেশের অন্যান্য দপ্তরে এ রকম আইন ও বিধি বিদ্যমান। কমিশনের শৃঙ্খলা ও সুষ্ঠু কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে কমিশনে বিস্তারিত আলোচনা শেষে শরীফ উদ্দিনকে অপসারণ করা হয়েছে।
অপসারণের আদেশ জারির পর থেকেই বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় বিষয়টি প্রচারিত হচ্ছে। মূলত একতরফা তথ্যের ভিত্তিতে এসব সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে, যা প্রকৃত ঘটনার বিপরীত বলে দাবি করে তিনি বলেন, প্রভাবশালীদের চাপে তাকে অন্যায়ভাবে তাকে অপসারণ করা হয়েছে বলে তিনি (শরীফ) যে দাবি করেছেন, মিডিয়ায় তাই প্রচার করা হয়েছে, যা প্রকৃত ঘটনা নয়।
তিনি বলেন, কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের কিছু মামলায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দুর্নীতি উদঘাটনের কারণে তাদের প্রভাবে শরীফ চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে এটা মোটেও সত্য নয়। পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, দুদক প্রভাব আমলে নেয় না এবং প্রভাবিত হয়ে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে না।
এর আগে, ১৬ ফেব্রুয়ারি দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর সই করা এক প্রজ্ঞাপনে মো. শরীফ উদ্দিনকে অপসারণ করা হয়। ওই প্রজ্ঞাপনে দুর্নীতি দমন কমিশন (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধি ৫৪ (২)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে তাকে অপসারণ করার কথা বলা হয়।
বিস্তারিত আসছে…
খুলনা গেজেট/ এস আই