বাগেরহাটের শরণখোলায় টানা বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ধান বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে বাংলাদেশ পরমানু গবেষনা ইনস্টিটিউট (বিনা), সাতক্ষিরা উপকেন্দ্রের পক্ষ থেকে শরণখোলা উপজেলার ৩০০জন কৃষকের মাঝে ১ হাজার ২শ’ কেজি বীজ ধান বিতরণ করা হয়।
শরণখোলা বিআরডিবি মিলনায়তনে বীজ ধান বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিনার মহাপরিচালক ড. মীর্জা মোফাজ্জল ইসলাম। শরণখোলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ওয়াসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিনা সাতক্ষিরা উপকেন্দ্রের পরিচালক ড. বাবুল আক্তার, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ মশিউর রহমানসহ উপকার ভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
গেল ২৭ জুলাই থেকে অবিরাম চার দিনের বর্ষণে উপজেলার ৭৫০ হেক্টর জমির বীজতলা নষ্ট হয়ে যায়। পানি নিস্কাসনের পরে নতুন করে চারা দেওয়ার জন্য কোথাও বীজ ধান পাচ্ছিলেন না কৃষকরা। এই অবস্থায় বিনার পক্ষ থেকে এই ধান পেয়ে খুশি কৃষকরা। স্বপ্ন দেখছেন আবারও নতুন করে।
পূর্ব খোন্তাকাটা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক বাদশা মাতুব্বর বলেন, নতুন করে চারা দেওয়ার জন্য কোথাও ধান পাচ্ছিলাম না। এক ধরণের হতাশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছিলাম। আজ বিনামূল্যে ধান পেলাম। এই ধান দিয়ে নতুন করে চারা দিতে পারব।
খুড়িয়াখালী গ্রামের কৃষক ইউনুস আলী বলেন, কৃষি বিভাগ থেকে দেওয়া এই ধান পেয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছি। চিন্তামুক্ত হলাম, এখন আর জমি ফেলে রাখতে হবে না। ধান চাষ করতে পারব।
শরণখোলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ওয়াসিম উদ্দিন বলেন, টানা বৃষ্টিতে শরণখোলা উপজেলার শতভাগ ধানের বীজতলার চারা নষ্ট হয়ে গেছিল। কিন্তু পানি নিস্কাশনের পরে কৃষকরা যে আবার চারা দিবে বীজ ধানের অভাবে তা সম্ভব ছিল না। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ পরমানু গবেষনা ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে কৃষকদের বিনামূল্যে উচ্চ ফলনশীল বিনা-৭, ১১ ও ১৭ ধানের বীজ প্রদান করা হয়েছে। এতে কৃষকরা অনেক উপকৃত হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
খুলনা গেজেট/ টি আই