খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সিইসিসহ নতুন নির্বাচন কমিশনারদের শপথ আজ
  অ্যান্টিগা টেস্ট: ৪৫০ রানে ইনিংস ঘোষণা ওয়েস্ট ইন্ডিজের, দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ৪০/২

শরণখোলায় পানিবন্দি পাঁচ গ্রামের তিন সহস্রাধিক পরিবার

বাগেরহাট প্রতিনিধি

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বৃদ্ধি পাওয়া পানিতে বন্দি হয়ে পড়েছে ভোলা নদীর তীরবর্তী শরণখোলা উপজেলার পাঁচটি গ্রামের তিন সহস্রাধিক পরিবার। রাতের বৃষ্টি ও সকালের জোয়ারে বেড়িবাঁধের বাইরে থাকা এসব গ্রামের অংশ বিশেষ প্লাবিত হয়েছে। এসব মানুষের শোবার ঘর, রান্নাঘরসহ সব জায়গা পানিতে থই থই করছে। মারাত্মক বিপাকে পড়েছে এসব মানুষ। পানিবন্দি এসব মানুষের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।

শরণখোলা গ্রামের মোঃ আবুল কালাম শিকদার বলেন, রাতের বৃষ্টির সাথে সাথে ভোলা নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। সকালের জোয়ারে বাড়িঘর সব তলিয়ে গেছে। শুধু পানি নয় ঢেউয়ে ঘরের পোতাও নষ্ট হয়ে গেছে।

খুড়িয়াখালী গ্রামের মোঃ ইদ্রিস খলিফা, নেয়ামুল জমাদ্দারসহ কয়েকজন বলেন, রাতেও বুঝতে পারিনি এত পানি হবে। সকাল ৮টার দিকে হঠাৎ পানি এসে আমাদের বাড়ি-ঘর তলিয়ে যায়। সবাইকে নিয়ে রাস্তার পাশে আশ্রয় নিয়েছি। ভাটিতে পানি কমলে বাড়ি যাব। না হয় রাতে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতে হবে।

চরগ্রামের জলিল গুরু ও সাইদুল শিকদার বলেন, বেড়িবাঁধ না থাকায় প্রতিটি ঝড়েই আমাদের ডুবতে হয়। মূল্যবান মালামাল নষ্ট হয়। হাঁস-মুরগি মারা যায়। সকালের হঠাৎ পানিতে চরগ্রামের সবার বাড়ি ঘর তলিয়ে গেছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য বাচ্চু মুন্সি বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ফলে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে আশপাশের পাঁচটি গ্রামের অন্তত ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। অনেকের রান্না বান্নাও বন্ধ রয়েছে। নদীর পাশে বাড়ি হওয়াটাই আমাদের কাল হয়েছে।

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বৃদ্ধি পাওয়া পানিতে শরণখোলা উপজেলার কিছু মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। আমরা তাদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেছি। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করবেন। তাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ লিখে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!