মুমিনুল ও ইয়াসির অতি দ্রুত বিদায় নিলে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করেন সোহান ও লিটন। তাদের শতরানের জুটিতে প্রতিরোধ পায় বাংলাদেশ। কিন্তু সোহান আউট হয়ে হাল ছেড়ে দেন। পেসার ডার্ল মিচেলের বল মিড অফ দিয়ে উড়াতে চেয়েছিলেন। টাইমিংয়ে গড়বড় হয়। সেখানে দারুণ ক্যাচ নেন ওয়াগনার। ৫৪ বলে ৩৬ রান করে ডানহাতি ব্যাটসম্যান ফেরেন সাজঘরে।
স্কোর : বাংলাদেশ ২৪৪/৭
বোল্টের এক ওভারে ১৬ রান তুললেন লিটন দাস। বাঁহাতি পেসারকে স্রেফ এলোমেলো করে দিলেন লিটন। এ সময়ে ডানহাতি ব্যাটসম্যান তুলে নেন নিজের ফিফটি। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তার ১২তম ফিফটি। ৬১তম ওভারের প্রথম বল কাট করে গালি দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠান লিটন। পরের বল ড্রাইভ করে মিড অফ দিয়ে সীমানার বাইরে। পরেরটা ড্রাইভ করে কভার দিয়ে বাউন্ডারিতে। এক বল বিরতির পর আরেকটি চার। শেষটা স্ট্রেইট ডাউন দ্য গ্রাউন্ড।
এদিকে ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশনে সমানে সমান লড়াই করলো দুই দল। কিন্তু ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশই এখন ব্যাকফুটে। এই সেশনে ২৫ ওভার খেলা হয়েছে। ৭৮ রান তুলেছে বাংলাদেশ। হারিয়েছে ৩ উইকেট। সব মিলিয়ে ১৫২ রানে নেই বাংলাদেশের ৫ উইকেট।
ব্যাটসম্যানদের আউটের ধরণগুলো বাজে। যেসব বল চাইলেই ছেড়ে দিয়ে উইকেটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা টিকে থাকা যায় সেসব বল খেলতে গিয়ে আউট হয়েছেন ব্যাটসম্যানরা। মুমিনুল ও নাঈম শেখ থিতু হওয়ার পর সবচেয়ে বাজে শটে আউট হয়েছেন। ইয়াসির ওয়াগনারের ভয়ংকর বাউন্সারের শিকার।গুরুত্বপূর্ণ এই ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান নড়বড়ে। তবুও লিটন ও সোহানের ব্যাটে শেষ ঘণ্টায় প্রতিরোধ পেয়েছে বাংলাদেশ। লিটন ২৩ ও সোহান ৬ রানে ব্যাটিং করছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম