শততম টি-টোয়েন্টিতে জয় দারুণ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। শুরুতে দারুণ জুটি গড়ে সৌম্য সরকার ও নাঈম। সৌম্য ও নাঈম ১০২ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন। যা টি-টোয়েন্টিতে উদ্বোধনী জুটিতে বাংলাদেশের রেকর্ড। এর আগে তামিম ও লিটন ৯২ রান করেছিলেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই। টেস্ট-ওয়ানডেতে মিশনের পর টি-টোয়েন্টিতে বড় জয় দিয়ে শুরু করল টাইগাররা। জিম্বাবুয়েকে হারারেতে ১৯তম ওভারেই ৮ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ে দলের বোলাররা কোনো সাফল্যই পায়নি ম্যাচে। দুটি আউটই হয়েছে রানআউটে।
জয়ের জন্য শেষ দুই ওভারে দরকার ছিল ১১ রান। ১৯তম ওভারেই ১৪ রান তুলে নিয়ে তিন ম্যাচ টি–টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয় এনে দিলেন নাঈম–নুরুল জুটি। তৃতীয় উইকেটে তাদের ১৫ বলে অবিচ্ছিন্ন ৩৩ রানের জুটি ভীষণ কাজে লেগেছে বাংলাদেশের। ৭ চারে ৫১ বলে ৬৬ রানে অপরাজিত ছিলেন নাঈম। অন্য প্রান্তে ১ ছক্কা ও ১ চারে ৮ বলে ১৬ রানে অপরাজিত নুরুল।
হারারেতে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান করেছিল জিম্বাবুয়ে। টি-টোয়েন্টিতে ১৫৩ রান খুব বড় লক্ষ্য নয়। প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ের থেকে শক্তিমত্তায় বেশ এগিয়ে বাংলাদেশ দল। টাইগার ব্যাটসম্যানরাও পরীক্ষিত। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টার্গেট টপকাতে নেমে সাবধানী শুরু সফরকারীদের।
বাংলাদেশ দলের দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও নাঈম শেখ শুরুতে রান তোলায় ব্যস্ততা দেখাননি। ১৫৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা সাবধানী হলেও পরে আগ্রাসন ছিলেন দুই বাঁহাতি ওপেনার সৌম্য ও নাঈম। প্রথম ৩ ওভারে রান ছিল মাত্র ৯। তবে উইকেটে সেট হওয়ার পর হাত খুলে খেলতে শুরু করেন দুজন। পরের দুই ওভারে তুলেছে ২৬ রান। তাদের ব্যাটে সুবিধাজনক তৈরি হয় বাংলাদেশের।
সৌম্য সরকার ও নাঈম শেষ উদ্বোধনী জুটিতে জয়ের ভিত গড়ে দেন। ১০২ রানের জুটি গড়েন তারা। সৌম্য সরকার ব্যক্তিগত অর্ধশত রান করার জন্য প্রয়োজন ছিল মাত্র ১ রানের। তবে ১ রান নিয়ে ৫০ রান সংগ্রহ হলেও দ্বিতীয় রান নিতে যেয়ে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। সৌম্য ফিফটির পর ফিরে গেলে মাহমুদউল্লাহ নিজেকে এগিয়ে নিয়ে আসেন। ১২ বলে ১৫ রান করে রান আউট হন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ।
রায়ান বার্লের সরাসরি থ্রোতে রান আউট মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর মাহমুদউল্লাহ নিজেকে তিনে উঠিয়ে আনেন। কিন্তু ইনিংসটি বড় করতে পারেননি। ১২ বলে ১৫ রান করে ফেরেন সাজঘরে। তার ফেরার আগে নাঈম তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি।
প্রথম, ৫০ ও শততম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ একই প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলার অনন্য নজির স্থাপন করলো বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সেঞ্চুরি পূর্ণ করলো বাংলাদেশ। নবম দল হিসেবে একশ টি-টোয়েন্টি খেলেছে মাহমুদল্লাহর নেতৃত্বাধীন দলটি।
বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচও খেলেছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর খুলনায় মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। জিম্বাবুয়েরও সেটি ছিল প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি। বাংলাদেশ যেখানে ম্যাচের সেঞ্চুরি পূর্ণ করলো, সেখানে জিম্বাবুয়ে খেলছে ৮৬তম ম্যাচ।