আর মাত্র ২ দিন পর ঈদুল ফিতর। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নড়াইলের লোহাগড়ায় জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে ফ্যাশন হাউজগুলোকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। পসরা সাজিয়ে বসে আছে দোকানিরা। তবে ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে মানুষের ভিড়। সকাল ৯টা থেকে শুরু করে এই ভিড় রাত ১০টা পর্যন্ত চলছে। প্রচন্ড গরমের কারণে দিনের চেয়ে অনেকেই সন্ধ্যার পর মার্কেটে যেতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। লোহাগড়া উপজেলা বাজারের বিভিন্ন সড়কের পাশে ছোট বড় দোকান ভাড়া নিয়ে ফ্যাশন হাউজ ও তৈরি পোশাকের দোকান দিচ্ছে নতুন নতুন ব্যবসায়ীরা।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে লোহাগড়া বাজার ঘুরে দেখা যায়, ফ্যাশন হাউজ ও তৈরি পোশাক এবং জুতার দোকানের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পিছিয়ে নেই কসমেটিকস দোকানগুলো। ঈদকে সামনে রেখে এসব ফ্যাশন হাউজগুলোয় কেনাবেচার ধুম পড়েছে। গতবারের তুলনায় এবার দাম বেশি। তবে পোশাকে এসেছে বেশ বৈচিত্র্য। নতুন নতুন দোকান ইতোমধ্যে তরুণ-তরুণীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। ছিট কাপড় ও তৈরি পোশাকের দোকানে সন্ধ্যার পরপরই ক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে। ছিট কাপড়ের দোকানে পছন্দের পোশাক তৈরির জন্য দর্জিদের কাছে ভিড় করছে তরুণীরা। ব্যতিক্রম নেই জুতার দোকানগুলোতেও। গত বছরের তুলনায় এবার পোশাকের দাম বেশি হওয়ায় নিম্নবিত্তরা পড়েছেন বিপাকে। অবশ্য নিম্নবিত্তদের কথা চিন্তা করে ইতোমধ্যে ফুটপাতে বেশ কিছু পোশাকের দোকান দিয়েছে স্বল্প পুঁজির ব্যবসায়ীরা। বাজারের ভেতরের চেয়ে এসব মার্কেটে জমে উঠেছে বেচাকেনা। দোকানিদের দম ফেলার ফুসরত নেই।
লোহাগড়া বাজারের কয়েকজন কসমেটিকসের দোকান মালিকদের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, গতবারের তুলনায় ক্রেতা বেশি, কেনাবেচাও বেশি। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে কেনাবেচা বেড়েছে বলে জানান তারা। মোল্যা মার্কেট, দিদার মার্কেট, রামনারায়ণ পাবলিক লাইব্রেরি মার্কেট, মুক্তিযোদ্বা মার্কেটের দোকানগুলোতেও কেনাবেচা চলছে সমানতালে। বিভিন্ন বিপণিবিতানে বেড়েছে জুতা-স্যান্ডেলের বিক্রি। ছোট-বড় সবাই আসছেন সাধ্যের মধ্যে পছন্দমতো জুতা-স্যান্ডেল কিনতে। কারও কাছে মান ও দাম ঠিক থাকলেও কারও কাছে গতবছরের তুলনায় কিছুটা বেশি। তবে দোকানিরা বলছেন তারা যেভাবে কিনে এনেছেন সেভাবেই বিক্রি করছেন।
লোহাগড়া বাজারে প্যান্ট-শার্ট কিনতে আসা সাহেব আলী নামে এক ক্রেতা বলেন, ঈদের কেনা-কাটা আগে থেকে মানুষ বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এমনিতে ঈদের কেনা-কাটা করার জন্য বিভিন্ন বয়সের নারী পুরুষ ভিড় জমাচ্ছেন। দোকানে লাইন ধরে জিনিস কিনছেন। পোশাক, কসমেটিকস ও জুতার দোকানে উপচে পড়া ভিড়।
এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নাসির উদ্দীন বলেন, স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদের কেনাকাটা করতে লোহাগড়া থানা পুলিশের পক্ষ থেকে বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আমাদের নিয়মিত টহল পুলিশ কাজ করছে। এ ছাড়া সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশও বাজারে রয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক রয়েছে পুলিশ।
লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আজগর আলী বলেন, ঈদ উপলক্ষে ক্রেতা সাধারনের কেনাকাটা নির্বিঘ্ন করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এমএম