লিবিয়িা উপকূলে ইউরোপের অভিবাসন প্রত্যাশীদের একটি জাহাজডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে নিখোঁজ রয়েছেন ৭৩ জন। ধারণা করা হচ্ছে, নিখোঁজ সবাই মারা গেছেন। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থার বরাতে বুধবার রাতে (১৫ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা।
এক টুইট বার্তায় আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, মঙ্গলবার অভিবাসন প্রত্যাশীদের জাহাজডুবির ঘটনায় ১১ লাশ উদ্ধার করেছে লিবিয় কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় সাতজন বেঁচে গিয়েছেন। ভয়ানক পরিস্থিতিতে তারা উপকূলে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। তাদের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
আল-জাজিরা বলছে, মঙ্গলবারের জাহাজডুবির ঘটনাটি ভূমধ্যসাগরের সর্বশেষ ট্র্যাজেডি। ইউরোপে যাওয়ার জন্য মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার দেশগুলোর শরণার্থী এবং অভিবাসন প্রত্যাশীরা লিবিয়ার এই রুটটি ব্যবহার করছে।
আইওএমের তথ্য মতে, ২০১৪ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত ২৫ হাজার ৮২১ অভিবাসন প্রত্যাশী ও শরণার্থী ভূমধ্যসাগর থেকে নিখোঁজ হয়েছে।
এই মাসের শুরুতে লিবিয়া ও ইতালির মাঝে একটি বিতর্কিত অভিবাসন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এটি তিন বছর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর ধারণা, এই চুক্তির ফলে ইতালি ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত হতে পারে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) সতর্ক করে বলেছে, লিবিয় কোস্টগার্ডের সহায়তায় হাজার হাজার অভিবাসন প্রত্যাশীকে জোর করে ফেরানো তাদের মানবাধিকারকে লঙ্ঘন করে। এতে করে অপরাধে জড়িয়ে পড়বে ইতালি ও ইইউ।
আইওএমের তথ্য মতে, গত ২৯ জানুয়ারি থেকে ৫৩১ অভিবাসন প্রত্যাশীকে লিবিয় কোস্টগার্ড যুদ্ধরত আফ্রিকা দেশগুলোতে ফেরত পাঠিয়েছে।
আর-জাজিরা বলছে, ন্যাটো সমর্থিত বিদ্রোহীদের ওপরে ওঠা ও দেশটির সাবেক শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে হত্যার পর থেকে তেল সমৃদ্ধ লিবিয়ায় বিশৃঙ্খলা রয়েছে। ২০২২ সালের জুনে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিবাসন প্রত্যাশীদের হত্যা, নিখোঁজ, নির্যাতন, দাসত্ব, যৌন নির্যাতন, ধর্ষণসহ আরও অমানবিক কাজ করছে লিবিয়া।