শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। তবে ২৪ বলের ব্যবধানে ৪ উইকেট খুইয়ে এরপর চলে যায় খাদের কিনারে। এরপরই ম্যাচে এল বৃষ্টির বাগড়া। যে কারণে এখন বন্ধ আছে খেলা।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ শুরুটা ভালোই করে। সৌম্য অবশ্য শুরুতে একটু নড়বড়েই ছিলেন। প্রথম চারটা এসেছে ব্যাটের বাইরের কোণায় লেগে। এরপর সে ওভারেই ফ্রেড ক্লাসেনের বল স্কয়ার লেগ দিয়ে সীমানাছাড়া করেন তিনি। প্রথম ওভার থেকে ১২ রান পায় বাংলাদেশ।
পরের দুই ওভার অবশ্য বাউন্ডারির দেখা পায়নি বাংলাদেশ। পেল চতুর্থ ওভারে। এবার খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসতে থাকেন শান্ত। বাস ডি লিডকে পরপর দুই বলে চার মারেন তিনি। পরের ওভারে ফ্রেড ক্লাসেনকেও টানা দুই চার মারেন তিনি। তাতে পাঁচ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪৩। চলতি বছর ওপেনিংয়ে বাংলাদেশের সেরা সংগ্রহও চলে আসে তাতে।
তবে পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে বিদায় নেন সৌম্য। ফন মিকেরেনকে পুল করতে গিয়ে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। বাংলাদেশ পাওয়ারপ্লে শেষ করে ৪৭ রানে ১ উইকেট খুইয়ে।
পরের ওভারে বিদায় নেন শান্তও। টিম প্রিঙ্গলকে মিড উইকেট দিয়ে সীমানাছাড়া করতে গিয়ে ব্যর্থ হন তিনি, ক্যাচ দেন সেই শর্ট মিড উইকেটেই। ৪৭ রানে ২ ওপেনারকে খুইয়ে বসে বাংলাদেশ।
তার বিদায়ের পর লিটন দাস আর সাকিব আল হাসান পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেন।
বাংলাদেশ একাদশ :
নাজমুল হোসেন শান্ত, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, ইয়াসির আলী, নুরুল হাসান (উইকেটরক্ষক), মোসাদ্দেক হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ।
নেদারল্যান্ডস একাদশ :
ম্যাক্স ও’ডাউড, বিক্রমজিৎ সিং, বাস ডি লিড, কলিন অ্যাকারম্যান, টম কুপার, স্কট এডওয়ার্ডস (অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক), টিম প্রিঙ্গল, লোগান ভ্যান বিক, শারিজ আহমেদ, ফ্রেড ক্লাসেন, পল ভ্যান মিকারেন।