চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে প্রাইভেট কার দুর্ঘটনায় নিহত পাঁচজনের মরদেহ ময়নাতদন্ত করা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে নিহতদের স্বজনদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৩ ফেব্রুযারি) সন্ধ্যায় স্বজনরা নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিয়ে যেতে চাইলে এ ঘটনা। এ সময় দুই পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে ১৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়তে হয়েছে।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেট কারে মদের বোতল পাওয়া গেছে। এতে পুলিশের ধারণা-আরোহীরা হয়তো মদ্যপ ছিল। যে কারণে বেপরোয়া গতিতে প্রাইভেট কার চলায় দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে চিতোষী-চাটখিল সড়কে প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের পুকুরে পড়ে যায়। এতে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার শাহপরান তুষার (২২), শাকিল হোসেন (২৬), রেজাউল (২৪), যশোরের শার্শা থানার নয়ন (২৫) ও গাজীপুর সদরের উত্তর খাইলপুর গ্রামের সাগর হোসেন (২৪) নিহত হন।
স্থানীয়রা জানান, নিহত মনোহরগঞ্জের তিনজনের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করতে প্রশাসনের কাছে যান স্বজনরা। এতে তারা ব্যর্থ হন। পরে বিকেলে উঘারিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে নিহতদের মরদেহ শাহরাস্তি থানায় নেওয়ার পথে স্বজনরা বাধা দেন। একপর্যায়ে তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে মরদেহ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে। প্রায় আধাঘণ্টা সংঘর্ষের পর পুলিশ তিনজনের মরদেহ নিয়ে থানায় চলে যায়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত জনতা বেশ কিছু দোকানপাট ও ঘরবাড়ি ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাত ৯টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলার তথ্য পাওয়া যায়নি। কাউকে আটকও করা হয়নি। সংঘর্ষে দুই পুলিশসহ আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই