‘লাব্বাইক, আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইক লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়াননি’মাতা লাকা ওয়ালমূলক লা শারিকা লাক’ ধ্বনিতে হাজার হাজার হজযাত্রী সমবেত হচ্ছেন আরাফাত ময়দানে। যেখানে রয়েছে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা।
সৌদিতে বসবাসরত ১৫০টি দেশের নাগরিকসহ ৬০ হাজার হজযাত্রী মিনা থেকে আজ সোমবার ফজরের নামাজ শেষে ১৫ কিলোমিটার দূরে আরাফার উদ্দেশ্যে রওনা হন।
এই ময়দানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করবেন হজযাত্রীরা। এ দিনকে আরাফা দিবস বলা হয়। এদিন মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা দেবেন কাবার মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়খ ড. বানদার বালিলাহ। বাংলাসহ ৯টি ভাষায় অনুবাদ করে প্রচার করা হবে এটি।
হাজিরা মসজিদে নামিরা থেকে দেওয়া হজের খুতবা শ্রবণ, যোহর, আসরের এক আজানের দুই ইকামতে কসরের সঙ্গে আদায় করবেন। তাঁবুতে অবস্থানকারী হাজিরা তাঁবুতে নামাজ আদায় করবেন।
৯ জিলহজ (১৯ জুলাই) সূর্যাস্তের পর আরাফাত ময়দান থেকে হাজীরা রওনা দেবেন প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে মুজদালিফার উদ্দেশে। মুজদালিফায় পৌঁছে তারা মাগরিব ও এশা একসঙ্গে আদায় করবেন। সেখানে রাত যাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন হাজিরা।
১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরে আসবেন তাঁরা। মিনায় এসে বড় শয়তানকে পাথর মারা, দমে শোকর বা কোরবানি ও মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেঁটে হালাল হয়ে মক্কায় কাবা শরিফ তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়া সাহী করবেন। সেখান থেকে তাঁরা আবার মিনায় যাবেন। মিনায় যত দিন থাকবেন, তত দিন তিনটি (বড়, মধ্যম, ছোট) শয়তানকে ৭টি করে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করবেন।
করোনা মহামারির মধ্যে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে দ্বিতীয় বারের মতো এবার হজ পালিত হচ্ছে। হজের অংশ হিসেবে হজযাত্রীরা পাঁচ দিন মিনা, আরাফা, মুজদালিফা ও মক্কায় অবস্থান করবেন।
খুলনা গেজেট/এনএম